COVId-19

মুখঢাকা নিত্যযাত্রীর ভিড়ই দেখলাম

মোটের ওপর, প্রথম দিনের যাত্রায় নিয়ম পালন আর নিয়ম না মানা— দুই-ই মিশে থাকল হাত ধরাধরি করে।

Advertisement

আশিক চক্রবর্তী

শেষ আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০২০ ০০:৪২
Share:

প্রতীকী ছবি।

ক’দিন ধরেই মনের মধ্যে উথালপাতাল চলছিল। দিনের ব্যস্ত সময়ে দূরত্ববিধি বজায় রেখে ট্রেনে যাতায়াত করাটা কি আদৌ সম্ভব। সংক্রমণ ছড়াবে না তো! ভয়টা ছিলই। আবার, বর্তমান পরিস্থিতিতে ট্রেন যাত্রা কতটা নিরাপদ হবে, রেল কী বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে। তা দেখার জন্যও ছটফট করছিলাম। মনের দ্বন্দ্ব কাটিয়ে তাই বেরিয়েই পড়েছিলাম সকাল সকাল।

Advertisement

আমার বাড়ি থেকে কাশিমবাজার স্টেশন কাছেই। স্যানিটাইজ়েশন কিংবা থার্মাল স্ক্রিনিং পেরিয়ে টিকিট কাটতে দেরি হবে ভেবে তাই হাতে সময় নিয়েই বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলাম। শিয়ালদহ যাওয়ার একটিই মাত্র ট্রেন আজ। যাব কল্যাণী। ফলে ট্রেন মিস করা চলবে না। কাশিমবাজারে ট্রেন ঢুকল পাঁচটা ৩৫ মিনিটে। ১৬ মিনিট লেটে। যাত্রীরা দূরত্ববিধি মেনে চলছেন কি না, তা দেখার জন্য অবশ্য স্টেশনে জিআরপি বা আরপিএফের কাউকে চোখে পড়ল না। তবে সুরক্ষা বলয় আঁকা ছিল। যদিও কেউ সেখানে দাঁড়াননি। তবে যাত্রীরা প্রত্যেকে মাস্ক পরে ট্রেনে উঠেছিলেন। ট্রেনে ভিড় তেমন না থাকায় সকলে দূরত্ব মেনেই বসেন। ট্রেনে একজন হকারও চোখে পড়েনি। মোটের ওপর, প্রথম দিনের যাত্রায় নিয়ম পালন আর নিয়ম না মানা— দুই-ই মিশে থাকল হাত ধরাধরি করে।

(ভোরের ট্রেনের যাত্রী)

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন