ছবি: এআই সহায়তায় প্রণীত।
আবার ‘এসআইআর-আতঙ্কে’ আত্মহত্যার অভিযোগ। এ বার ঘটনাস্থল মুর্শিদাবাদের কান্দি পুরসভা।
স্থানীয় সূত্রে খবর, চাষের কাজ করতে গিয়ে খেতে কীটনাশক খেয়ে নিজেকে শেষ করে দেন এক কৃষক। পরিবারের দাবি, ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নাম ছিল না তাঁর। সেই আতঙ্কে আত্মহত্যা করেছেন ৪৫ বছরের মহুল শেখ। এসআইআর ঘোষণার পর একের পর এক মৃত্যুর ঘটনায় বিজেপিকে একহাত নিয়েছে তৃণমূল।
কান্দি পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ছিলেন মহুল। মঙ্গলবার দুপুরে নিজেদের জমিতে চাষের কাজ করছিলেন তিনি। পরিবারের দাবি, খেতের কাজ করতে করতে কীটনাশক খান মহুল। আশেপাশে থাকা কৃষকেরা তাঁকে দেখতে পেয়ে উদ্ধার করেন। খবর দেওয়া হয় বাড়িতে। তড়িঘড়ি মহুলকে কান্দি মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছিল তাঁর। তাই ওই হাসপাতাল থেকে বহরমপুর মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তর করা হয় তাঁকে। কিন্তু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয় মহুলের। পরে কান্দি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে তারা। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
মঙ্গলবারই হাওড়ার উলুবেড়িয়ায় উদ্ধার হয়েছে ২৮ বছরের এক ঠিকাশ্রমিকের দেহ। পরিবারের দাবি, এসআইআর-আতঙ্কে আত্মঘাতী হয়েছেন তিনি। বস্তুত, গত এক সপ্তাহে বাংলায় ষষ্ঠ মৃত্যুর নেপথ্যে এসআইআরকেই দায়ী করেছে শাসকদল।