ধর্ষণে অভিযুক্ত পাকড়াও এক মহিলার চেষ্টায়

ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন কয়েক দিন আগে। তারপর থেকেই অভিযুক্ত পালিয়ে বেড়াচ্ছিল। মঙ্গলবার দুপুরে ‘নির্যাতিতা’কে নিয়ে থানায় যাচ্ছিলেন তাঁর জেঠিমা। রাস্তায় অভিযুক্ত যুবককে দেখতে পান তিনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রঘুনাথগঞ্জ শেষ আপডেট: ১৩ মার্চ ২০১৯ ০৩:৫৯
Share:

ধৃতকে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। নিজস্ব চিত্র

ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন কয়েক দিন আগে। তারপর থেকেই অভিযুক্ত পালিয়ে বেড়াচ্ছিল। মঙ্গলবার দুপুরে ‘নির্যাতিতা’কে নিয়ে থানায় যাচ্ছিলেন তাঁর জেঠিমা। রাস্তায় অভিযুক্ত যুবককে দেখতে পান তিনি। চলন্ত টোটো থেকে লাফিয়ে নেমে তাকে তাড়া করেন ওই মহিলা। শেষ পর্যন্ত তাঁর তৎপরতাতেই ধরা পড়ে ওই যুবক।

Advertisement

রঘুনাথগঞ্জ শহরের ফুলতলায় এই ঘটনা নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়ায় এদিন দুপুরে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দিনকয়েক আগে কানুপুর পঞ্চায়েতের বাসিন্দা ওই তরুণী সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে প্রাত্যকৃত্য করতে গিয়েছিলেন। অভিযোগ, সেই সময় অভিযুক্ত যুবক তাঁকে ধর্ষণ করে। পরদিন সকালে ঘটনা জানাজানি হলে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। ওই তরুণীর পরিবার জঙ্গিপুর মহিলা থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন। তরুণীর ডাক্তারি পরীক্ষা হয়। তারপরই অভিযুক্তকে ধরতে ওই গ্রামে হানা দিয়েছিল পুলিশ। কিন্তু অভিযুক্ত, বছর চব্বিশের ধ্রুব মাঝি তার আগেই গ্রাম ছেড়ে পালায়। এদিন দুপুরে ‘নির্যাতিতা’কে নিয়ে ১০ কিলোমিটার দূরের গ্রাম থেকে টোটোয় জঙ্গিপুর মহিলা থানায় যাচ্ছিলেন তাঁর জেঠিমা ও এক আত্মীয়া। ফুলতলার রাস্তায় একটি ব্যাঙ্কের কাছে যানজটে আটকে ছিল তাঁদের টোটোটি।

জেঠিমা বলেন, ‘‘টোটো থেকে দেখতে পেলাম, পাশের রাস্তা দিয়ে হেঁটে চলেছে ওই যুবক। টোটো থেকে এক লাফে রাস্তায় নেমে ছুটে গিয়ে ধরে ফেলি ওকে। ঝটকা মেরে হাত ছাড়িয়ে দৌড়ে পালাল ও। আমিও পিছনে ছুটতে শুরু করি।’’ নির্যাতিতার কথায়, ‘‘চোখের সামনে হাত ছাড়িয়ে পালিয়ে যাচ্ছিল ও। রাস্তায় তখন বহু লোক। কী করব ভেবে না পেয়ে চোর চোর বলে চিকার শুরু করি। চারদিক থেকে লোকজন ছুটে আসেন। তাঁরাই গিয়ে ধরে ফেলেন অভিযুক্তকে। একপ্রস্ত মারধরের পর তাকে তুলে দেওয়া হয় রাস্তায় ডিউটিতে থাকা এক সিভিক ভলান্টিয়ারের হাতে।” এক স্থানীয় বাসিন্দা জানালেন, তিনি রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে ছিলেন। সেই সময় চোর চোর চিৎকার শুনতে পান। তাঁর কথায়, ‘‘দেখি এক যুবক ছুটছে। পিছনে তিন মহিলা চোর চোর বলে চিৎকার করে ছুটে আসছেন। দ্রুত ওই যুবককে ধরে ফেলি। পরে জিজ্ঞাসাবাদে সমস্ত কিছু জানতে পারি।’’

Advertisement

ওই সিভিক ভলান্টিয়ার অভিযুক্তকে নিয়ে যান রঘুনাথগঞ্জ থানায়। সেখান থেকে তাকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় জঙ্গিপুর মহিলা থানায়। রঘুনাথগঞ্জ থানার আইসি সৈকত রায় বলেন, ‘‘অভিযুক্তকে যেভাবে ধরেছেন ওই মহিলা, তা প্রশংসনীয়। ওই যুবককে আমরা গ্রেফতার করেছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন