TMC leader murder

তিন দিন পরেও অধরা অভিযুক্তেরা

রিনার অভিযোগে নাম রয়েছে নদিয়া জেলা পরিষদের সদস্য টিনা ভৌমিক সাহা, নওদা ব্লক তৃণমূল সভাপতি সফিউজ্জামান সেখ ও হাবিবের।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

নদিয়া শেষ আপডেট: ২৮ নভেম্বর ২০২২ ০৯:১৭
Share:

নিহত মতিরুল। নিজস্ব চিত্র

তৃণমূল নেতা মতিরুল ইসলাম বিশ্বাসকে খুনে রবিবার আর কাউকে গ্রেফতার করা হল না। পুলিশের কাছে মতিরুলের স্ত্রী নদিয়ার নারায়ণপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান রিনা বিশ্বাসের লিখিত অভিযোগে যে দশ জনের নাম রয়েছে, তাঁদের কাউকে এখনও জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়নি বলে সূত্রের খবর। বৃহস্পতিবার মতিরুলকে নওদায় প্রকাশ্যে রাস্তায় গুলি করে খুন করা হয়।

Advertisement

রিনার অভিযোগে নাম রয়েছে নদিয়া জেলা পরিষদের সদস্য টিনা ভৌমিক সাহা, নওদা ব্লক তৃণমূল সভাপতি সফিউজ্জামান সেখ ও হাবিবের। শনিবার ভোরে নদিয়ার টোপলা এলাকা থেকে ইসরাফিল মণ্ডল ওরফে কিতাবকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জানা গিয়েছে মৃতের স্ত্রীর অভিযোগের তালিকায় তাঁর নাম নেই।

রবিবার বিকেলে অন্যতম অভিযুক্ত টিনা ভৌমিক সাহা ফোনে জানান, তিনি নাজিরপুরে নিজের বাড়িতেই রয়েছেন। তিনি বলেন, “উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে আমার নাম দেওয়া হয়েছে। আসল খুনিদের সামনে আসা জরুরি। যখন তারা সামনে আসবে মানুষ তখন থ হয়ে যাবে।” সেই সঙ্গে তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহার বিরুদ্ধে নতুন একটি অভিযোগও করেন। তাঁর দাবি, “মতিরুলকাকু তাপস সাহার কাছ থেকে বিরাট অঙ্কের টাকা পেতেন। এই খুনের পিছনে আর্থিক লেনদেনের বিষয় আছে বলে আমার সন্দেহ রয়েছে।” যা শুনে তাপস সাহার মন্তব্য, ‘‘ছাগলে কি না বলে পাগলে কি না খায়। নিজেকে বাঁচতে হবে তো, তাই এ সব গল্প বলছে।’’

Advertisement

রবিবারেও মৃতের পরিবারের লোকেদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন তাপস সাহা। তিনি বলেন, “যত দূর মনে হচ্ছে, পুলিশ ঘটনার প্রকৃত তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার চিন্তাভাবনা নিয়েছে।”

অভিযুক্ত ১০ জনের মধ্যে নদিয়ার ৮ জন রয়েছেন। তার মধ্যে আজলামপুরের খালেক কবিরাজ ওরফে রাজকুমারের বাড়ি গেলে তাঁর দেখা মেলেনি। বাকিদের সঙ্গেও যোগাযোগ করা যায়নি।

এই খুনের ঘটনায় বেশ কিছু তৃণমূল নেতার নাম প্রকাশ্যে জানিয়েছিলেন নারায়ণপুর ১ পঞ্চায়েত এলাকার তৃণমূল নেতা সাজিজুল হক ওরফে মিঠু। তিনি বলেন, “পুলিশের তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে আমরা নিজেরাই ধোঁয়াশায় আছি। মতিরুলের স্ত্রী যে দশ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন তাকে এখনও এফআইআর হিসেবে নেওয়া হয়নি বলেই আমরা জানতে পেরেছি। পুলিশের সঙ্গে এ বিষয়ে আমরা কথা বলব। এই ঘটনায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে জড়িতদের আমরা শাস্তি চাই অবিলম্বে।’’

মুর্শিদাবাদ জেলা পুলিশ সুপার সুরিন্দর সিংহ বলেন, ‘‘ঘটনার তদন্ত ঠিক পথে এগোচ্ছে। আমরা অভিযুক্তদের খোঁজে বিভিন্ন রকম ভাবে তল্লাশি শুরু করেছি। বিভিন্ন জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।’’

সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, ঘটনার পর দিন ভোরে অর্থাৎ শুক্রবার সকাল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ নদিয়ার পরাণপুর এলাকার এক যুবক ঘটনাস্থল থেকে প্রায় আটশো মিটার দূরে তাঁর এক আত্মীয়ের বাড়িতে নিজের স্কুটি রেখে চলে গিয়েছেন। বেপাত্তা ওই যুবকের স্ত্রী ওই নাবালক দুই ছেলে। এ বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন