জনবহুল রাস্তায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে লরি ফলের দোকানে ঢুকে পড়ায় ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। গুরুতর আহত আরও তিন জন। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে জঙ্গিপুরের ফুলতলার ভাগিরথী সেতুর মুখে। মৃতের নাম মহম্মদ শেখ শরিফ (৬৫)। বাড়ি জঙ্গিপুরের গফুরপুর বরজ এলাকায়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন বিকেলে রাস্তার পাশে দোকানে ফল কেনার জন্য শরিফ-সহ কয়েক জন ক্রেতা দাঁড়িয়েছিলেন। হঠাৎই ভাগীরথী সেতু থেকে নামার সময় লরিটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফলের দোকানে ঢুকে যায়। প্রথমে শরিফকে চাপা দেয়। পরে কয়েক জনকে ধাক্কা মেরে কিছুটা দূরে গিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে। ভাগিরথী সেতু পেরিয়েই ফুলতলার ট্রাফিক মোড়। সেখানে এ দিন ডিউটিতে ছিলেন সিভিক কর্মীরা। দুর্ঘটনার হাত থেকে কোনও রকমে রক্ষা পান তাঁরাও। ফল ব্যবসায়ী টুকু শেখ বলেন, ‘‘উঁচু সেতু থেকে নামার সময় ফুলতলায় ট্রাফিক মোড়ের কাছে সব যানবাহনেরই গতি একটু বেশিই থাকে। লরিটিকেও সেভাবে নেমে আসতে দেখে তাই প্রথমে কিছুই বোঝা যায়নি। দোকানের সামনেই মোটরবাইক নিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন শরিফ ফল কেনার জন্য। তাই প্রথমেই চাপা পড়েন তিনি।’’ লরির চালককে জনতা তাড়া করলে সে পালিয়ে যায়।
এর আগেও একই ভাবে দুর্ঘটনা ঘটেছে ফুটতলার ট্রাফিক মোড়ে। মাল বোঝাই লরির ধাক্কায় ভেঙ্গে গিয়েছে ট্রাফিক স্ট্যান্ড। সেবারও দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পান সিভিক কর্মীরা। স্থানীয় পথচারীদের অভিযোগ, ফুলতলা থেকে বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত প্রধান সড়কের দুপাশে গড়ে ওঠা ফুটপাথ দখল করে নিয়েছেন হকাররা। এমনকী রাস্তাতেও নেমে এসেছেন তাঁরা। ফলে ফুটপাথ ছেড়ে রাস্তা দিয়েই হাঁটতে হচ্ছে পথচারীদের। এর উপর ফুলতলা থেকে বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত অটো, টোটো, ট্রেকার, ট্যাক্সি ছাড়াও বাস দাঁড়াচ্ছে রাস্তা জুড়ে। মাটি বোঝাই ডাম্পার লাগামহীন গতিতে রাস্তায় যাতায়াত করছে। সেতুর উপর দাঁড়িয়ে বাস, অটো-সহ সব যানবাহনই যাত্রী তুলছে। ফলে কার্যত ভেঙ্গে পড়ছে ফুলতলার ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা। এর ফলে প্রতিদিনই ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটছে।
এ দিনই ফরাক্কা থানার বল্লালপুরের কাছে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে মালদহগামী একটি যাত্রীবাহী বেসরকারি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে গেলে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় বাসটির চালক দিলীপ সরকারের (৫২)। আহত ১৪ জন যাত্রীকে ধুলিয়ানের তারাপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাঁদের পরিজনেরা বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে যান। বাসটিকে আটক করেছে পুলিশ।