দলের সদস্যকে মার, অভিযুক্ত ব্লক তৃণমূল নেতা

বৃহস্পতিবার বিকেলে শান্তিপুর বিডিও অফিসে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য নিরঞ্জন দাসকে মারা হয় বলে অভিযোগ। নিরঞ্জনবাবু অভিযোগ জানিয়েছেন, এ দিন দুপুরে তিনি শান্তিপুর বিডিও অফিসে যান।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

শেষ আপডেট: ২২ ডিসেম্বর ২০১৮ ০২:১৬
Share:

ফের শাসক দলের কোন্দল সামনে এল শান্তিপুরে। বিডিও অফিসেই বৃহস্পতিবার তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির এক সদস্যকে মারধরের অভিযোগ উঠল। এই ঘটনায় দলের ব্লক সভাপতি এবং তাঁর সঙ্গীদের বিরুদ্ধে শান্তিপুর থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। নিরঞ্জন দাস নামে ওই পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য দলের বাবলা অঞ্চল কমিটিরও সভাপতি। তাঁর বিরুদ্ধেও পাল্টা মারের অভিযোগ উঠেছে।

Advertisement

বৃহস্পতিবার বিকেলে শান্তিপুর বিডিও অফিসে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য নিরঞ্জন দাসকে মারা হয় বলে অভিযোগ। নিরঞ্জনবাবু অভিযোগ জানিয়েছেন, এ দিন দুপুরে তিনি শান্তিপুর বিডিও অফিসে যান। সেখানে দলের ব্লক সভাপতি তপন সরকারের উস্কানিতে তাঁর কয়েক জন সঙ্গী তাঁর ওপরে চড়াও হন। প্রথমে তাঁকে অকথ্য গালি দেওয়া হয়, তার পর শুরু হয় মার। বৃহস্পতিবার রাতে তিনি শান্তিপুর থানায় ব্লক সভাপতি-সহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন।

নিরঞ্জনবাবু শান্তিপুরের বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্যের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। অন্য দিকে সম্প্রতি ব্লক সভাপতি তপন সরকারের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়েছে বিধায়ক অরিন্দমের। শান্তিপুর ব্লকে দলের কিছু সদস্য এবং পদাধিকারী ব্লক সভাপতির বিরোধিতা করছেন বলে অভিযোগ। এঁদের মধ্যে নিরঞ্জনও রয়েছেন বলে তৃণমূল সূত্রের খবর। দলের একাংশের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার দলের এক বিধায়ক এবং নেতার বিরুদ্ধে গালি দেন নিরঞ্জন। এর পরই ঝামেলার সূত্রপাত। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন নিরঞ্জন।

Advertisement

তার দাবী, “আমি এ রকম কিছুই বলিনি। আমাকে বিনা প্ররোচনায় মারধর করা হয়েছে। কিছু লোক নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করতে দলকে ব্যবহার করছে। দলকে জানিয়েছি, কী ব্যবস্থা নেওয়া হয় দেখি। সম্মান না-পেলে পদত্যাগ করব।” তাঁর দাবি, ইতিমধ্যেই ব্লকের কিছু জনপ্রতিনিধি এবং পদাধিকারী ব্লক সভাপতির অপসারণ চেয়ে চিঠি দিয়েছেন দলীয় নেতৃত্বকে। এঁদের মধ্যে নিরঞ্জনও আছেন। তিনি বলেন, “ব্লক সভাপতির অপসারণই চাইছি আমরা।” তৃণমূলের শান্তিপুর ব্লক সভাপতি তপন সরকার বলেন, “ঘটনার সময়ে আমি সেখানে উপস্থিত ছিলাম না। পরে ঘটনার কথা জানতে পারি। দল যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার নেবে।”

এ দিন ফোন ধরেননি শান্তিপুরের বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্য। জেলা তৃণমূলের সভাপতি গৌরীশঙ্কর দত্ত বলেন, “বিষয়টি কী হয়েছে তা খোঁজ নিচ্ছি।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement