পুকুর পাড়ে পাত পড়ছে মিডডে’র

খাওয়া সেরে সেই পুকুরেই ধোয়া মাজা করতে হচ্ছে থালা। নিত্য দিনের এই ঘটনা সামনে এল বুধবার দুপুরে সুতি ১ ব্লকের বহুতালি হাইস্কুলে। 

Advertisement

বিমান হাজরা

সুতি শেষ আপডেট: ১৩ অক্টোবর ২০১৮ ০২:৪৭
Share:

এ ভাবেই খাওয়া-ধোয়া: সুতিতে। ছবি: অর্কপ্রভ চট্টোপাধ্যায়

ডাইনিং হল নেই। বারান্দায় খাওয়া দাওয়া হলে স্কুল নোংরা হবে। তাই পড়ুয়াদের মিডডে মিল খাওয়া দাওয়া সারতে হচ্ছে স্কুলের সামনে পুকুর পাড়ে বসে।

Advertisement

খাওয়া সেরে সেই পুকুরেই ধোয়া মাজা করতে হচ্ছে থালা। নিত্য দিনের এই ঘটনা সামনে এল বুধবার দুপুরে সুতি ১ ব্লকের বহুতালি হাইস্কুলে।

সে দিন স্কুলের মিড ডে মিলের ব্যবস্থাপনা দেখতে ওই স্কুলে গিয়েছিলেন সুতি ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শ্রাবণী মাঝি সরকার। সঙ্গে ছিলেন ব্লকের মিডডে মিলের দায়িত্বে থাকা দুই আধিকারিকও। ভরা পুকুরের পাশে বসে কয়েকশো ছেলে মেয়ের মিডডে মিল খেতে দেখে হতবাক সকলেই।

Advertisement

ছাত্র ছাত্রীদের সঙ্গেও কথা বলে তাঁরা জানতে পারেন, এটাই রোজকার নিয়ন। সভাপতি বলেন, “ছাত্র ছাত্রীরা রান্না ঘর থেকে থালায় ভাত-তরকারি নিয়ে গিয়ে স্কুলের সামনে পুকুর পাড়েই বসে পড়ছে খাবার খেতে। পুকুরে নেমে থালা ধুচ্ছে। যদি বিপদ ঘটে। স্কুলে টানা বড় বারান্দা রয়েছে। কিন্তু একাধিক বাইক ও সাইকেল রাখা রয়েছে সেখানে। আমি এই অবস্থা দেখে ছাত্রছাত্রীদের ডেকে বারান্দায় বসিয়ে খাওয়ানোর ব্যবস্থা করি।’’ ঠিক হয়েছে, যত দিন না ডাইনিং হল হচ্ছে, ততদিন ছাত্র ছাত্রীরা সেখানেই খাবে এখন থেকে।

তিনি জানান, রাঁধুনিদের ব্যবহারের জন্য ১২ সেট পোশাক দেওয়া হয়েছে স্কুলকে। তবু রান্না চলছে সে পোশাক না পরেই। মেঝেরর সময়ে সে পোশাকের ব্যবহার চোখে পড়েনি। খাবার রয়েছে না-ঢাকা অবস্থায়। এ দিন প্রধান শিক্ষক স্কুলে ছিলেন না। যিনি দায়িত্বে ছিলেন তাঁকে মিডডে মিলের এই সব অব্যবস্থা দূর করতে বলা হয়েছে।

প্রধান শিক্ষক দীনবন্ধু মুখোপাধ্যায় পরে বলেন, “আমাদের স্কুলে ডাইনিং হল নেই। তিন হাজার ছাত্র ছাত্রীর স্কুলে গড়ে প্রতি দিন প্রায় ৪০০ ছেলে মেয়ে মিডডে মিল খায়। বারান্দায় বসে খাওয়ালে নিয়মিত তা পরিস্কার করা যাবে না। স্কুলের পরিবেশ নোংরা হবে। তাই যে যার মত মাঠে, পুকুর পাড়ে বসে খাবার খেয়ে নেয়।’’ কিন্তু পুকুর পাড়ে খাবার? কোনও দুর্ঘটনা ঘটলে? প্রধানশিক্ষকের নি;বিকার জবাব, ‘‘ঘটেনি তো।’’

বিডিও রবীন্দ্রনাথ বারুই বলছেন, “ডাইনিং হল নেই , তাই পুকুর পাড়ে মিডডে মিল খাওয়াতে হয় এ কথা তো ওই হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক কখনও আমাদের বলেননি। স্কুলের নিজস্ব জায়গা থাকলে উনি আবেদন করলেই আমরা তার ব্যবস্থা করব। তা বলে ছাত্ররা পুকুর পাড়ে বসে মিডডে মিল খাবে এটা হতে পারে না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন