ফাইল চিত্র।
জেলা পরিষদ সভাধিপতির কাছে ‘দিদি বন্দনার চেয়ে এখন দাদা বড় হয়ে উঠেছে।’তৃণমূলের জেলা নেতাদের মধ্যে এখন এটাই চেনা লব্জ। সভাধিপতি মোশারফ হোসেন মণ্ডল, মুর্শিদাবাদ যাকে মধু নামেই চেনে, তিনি এখন 'দাদা' স্তুতিতে বিভোর।আগামী ৮ ই নভেম্বর সেই 'ভাই'এর ডাকেই দাদা শুভেন্দু অধিকারী জেলায় আসতে চলেছেন বলে জোর কদমে প্রচার শুরু করেছেন মধু। মধু বলছেন, ‘‘সব ঠিকঠাক থাকলে ৮ তারিখ দাদা জেলায় পা দেবেন।’’
দীর্ঘ রোগ ভোগের পরে দিন কয়েক আগে মারা গিয়েছেন মোশারফের ঘনিষ্ঠ তথা জেলা পরিষদের বন ও ভূমি দফতরের কর্মাধ্যক্ষ মফেজুদ্দিন মণ্ডল, নভেম্বরের ৮ তারিখ তাঁর স্মরণ সভায় মোশারফের সাথে এক মঞ্চে দেখা যাবে শুভেন্দু অধিকারীকে। তৃণমূলের অন্দরের খবর ওইদিন শুভেন্দুর হাত ধরে মোশারফ তার তৃণমূল - জীবনে ইতি টানতে পারেন সেকথা যদিও এখনই স্বীকার করছেন না মোশারফ। শুধু বলছেন দাদার হাত ধরেই কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে এসেছিলেন তাঁর কাছ থেকে রাজনীতির অনেক কিছু শিখেছি জেলা পরিষদ গঠনেও দাদার হাত ছিল। তাঁর কথা মত রাজনীতি করতে চাই। মধু ঘনিষ্ঠ প্রয়াত মফেজুদ্দিনও শুভেন্দুর ঘনিষ্ঠ ছিলেন। তাই ওইদিন শুভেন্দুর জেলায় আসার সম্ভাবনা রয়েছে। মোশারফের এক ছায়া সঙ্গী বাবন মণ্ডল বলছেন, ‘‘দাদা খড়্গ্রামে আসছেন এটা নিশ্চিত আমরা, তাঁর অনুগামীরা সভা ভরিয়ে দেব। তারপর যা সিদ্ধান্ত হওয়ার হবে।’’ তবে, মধু ঘনিষ্ঠ এক নেতা জানান, ‘‘ওই দিন স্মরণ সভায় বা শুভেন্দুর উপস্থিতিতে কোনও রাজনৈতিক দলের পতাকা থাকবে না।’’
তৃণমূলের এক জেলা নেতা বলেন, ‘‘দলীয় পতাকা না রাখার এই সিদ্ধান্ত অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কারন দলের পতাকা না থাকলে তৃণমূলের প্রতি আনুগত্যেরও যে প্রশ্ন থাকছে না তা স্পষ্ট হয়ে যাবে।’’