উদ্ধার হওয়া তরুণী। নিজস্ব চিত্র
দেবী কামাখ্যার সঙ্গে বিবাদ পুরুষোত্তম কৃষ্ণের। তার উপর বাড়ির লোকের গঞ্জনা। তারই জেরে ঘর ছেড়েছিলেন কৃষ্ণপ্রেমে বিভোর মীরা!
তিনি হলেন রাজস্থানের মেরঠের কৃষ্ণসাধিকা। আর এ ‘মীরা’ নদিয়ার পলাশিপাড়ার। কৃষ্ণপ্রেমিকা সদ্য যুবতী দোয়েল চক্রবর্তী। বাড়িতে আমিষ খাওয়ার জন্য চাপাচাপি সহ্য করতে না পেরে ঘর ছেড়েছেন তিনিও!
বেতাই কলেজের প্রথম বর্ষের বিএ পাঠরতা দোয়েল কৃষ্ণ নামে বিভোর। মঙ্গলবার বেশি রাতে এলাকার লোক তাঁকে দেখতে পায় নবদ্বীপের পোড়মাতলা চত্বরে। নিজের মধ্যে যেন নেই তরুণী। কিছু একটা ভাবছে বুঁদ হয়ে। কথাও বলছে না ভাল করে। তাঁরাই তরুণীকে নিয়ে যান থানায়। বুধবার বিকেলে তাঁর কাছ থেকে বাড়ির ঠিকানা জানা যায়। খবর পেয়ে আসেন বাবা-মা।
বাবা গদাধর চক্রবর্তী পেশায় জ্যোতিষী। তিনি জানান ছোট থেকেই মেয়ে কৃষ্ণভক্ত। যদিও বাড়ির সকলে কামাখ্যার ভক্ত। তবে এ নিয়ে কোনও সমস্যা ছিল না। অসুবিধা বাড়ছিল মেয়ের দিনযাপনের পদ্ধতি আর হাবভাবে।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
বলছিলেন, “ক্রমশ সন্ন্যাসীর মতো জীবনযাপন করতে শুরু করেছিল ও। কারও সঙ্গে তেমন কথা বলে না। গোপাল প্রতিষ্ঠা করেছে। স্বপাকে খায়। খাবার বলতে গোবিন্দভোগ চালের সামান্য ভাত, ঘি আর সৈন্ধব লবণ। রাতে একটু দুধ আর দুটো কলা। নিজের জগতে থাকে।” মা সীমা দেবী চোখের জল ফেলে বলছিলেন, ‘‘প্রেমটেম করলেও হত। কিন্তু শেষে কিনা কৃষ্ণঠাকুরের প্রেমিকা! ও যাতে বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলে তার জন্য মোবাইল কিনে দিয়েছিলাম। সেটাও ধুলোতে ফেলে রেখেছে। কলেজেও যায় না। কাল দুপুর থেকে আমাদের কী ভাবে রাত কেটেছে বোঝাতে পারব না।’’ দোয়েল যতটুকু জানিয়েছে তার অর্থ হল, বাড়িতে আমিষ খাওয়ার জন্য চাপ সে নিতে পারছে না। তার জীবনযাপন সঙ্গে বাড়ির লোকের জীবন মিলছে না।’’
মঙ্গলবার দুপুর পলাশিপাড়ার লাগোয়া রাধানগরের মামার বাড়িতে গিয়েছিল দোয়েল। সেখান থেকে ঠাকুরের জিনিস কেনার নাম করে বেরিয়ে পড়ে আর ফেরেনি। এ দিন তাকে নিয়ে বাড়ি ফেরেন বাবা-মা।