ইয়াসিন সেখ। নিজস্ব চিত্র
প্রায় এক বছর ধরে বন্ধ চিকিৎসা। নেই রোজগার। যন্ত্রণায় ছটফট করে দিন-রাত কাটছে বছর ষাটের ক্যান্সার আক্রান্ত ইয়াসিন সেখের। পরিবারের লোকেদের অভিযোগ, পঞ্চায়েত, জনপ্রতিনিধিদের কাছে দরবার করে মেলেনি কোনও সহায়তা। উপায় না থাকায় রাষ্ট্রপতির কাছে স্বেচ্ছামৃত্যুর অনুমতি চেয়ে লিখিত আবেদন
করলেন ইয়াসিন। ইয়াসিনের বক্তব্য, ‘‘আমি সংসারের বোঝা হয়ে গিয়েছি। তাই স্বেচ্ছামৃত্যু চাই।’’ তাঁর স্ত্রী রহিমা বিবির বক্তব্য, ‘‘এই যন্ত্রণা রোজ চোখের সামনে দেখতে পারছি না। তবে কেউ পাশে দাঁড়াক।’’
বেলডাঙা ২ ব্লকের রেজিনগর কাশিপুর গ্রামের বাসিন্দা তিনি। দিনমজুর ইয়াসিনের সম্বল বলতে পৈতৃক ভিটে আর মাত্র সাত কাঠা চাষের জমি। প্রায় এক বছর আগে শ্বাসকষ্ট সহ বেশ কিছু উপসর্গ দেখা দেয় ইয়াসিনের। এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে শুরু হয় চিকিৎসা। পরিবারের লোকেদের দাবি, বিভিন্ন পরীক্ষার পরে চিকিৎসকেরা জানান তাঁর ফুসফুসে বাসা বেধেছে ক্যান্সার। ধারদেনা করে তিন বার কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর অর্থের অভাবে বন্ধ হয়ে পড়ে তাঁর চিকিৎসা। এলাকার কিছু যুবক তাঁকে সাধ্য মতো সাহায্য করেন ইয়াসিন। বেলডাঙা ২ বিডিও সমীররঞ্জন মান্না বলেন, ‘‘তাঁর চিকিৎসা ও আর্থিক সমস্যা সাহায্য করা হচ্ছে।’’ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রশান্ত বিশ্বাস বলেন, ‘‘তাঁর চিকিৎসার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।’’