পঞ্চায়েত দখলের পরে উল্লাস তৃণমূলের। নিজস্ব চিত্র
জোট বেঁধেও পানিঘাটা পঞ্চায়েতে তৃণমূলের বোর্ড গঠন আটকাতে পারল না বিরোধীরা। গত ২৯ জুলাই কালীগঞ্জ ব্লকের ওই গ্রাম পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনের প্রথম চেষ্টা বানচাল হয়েছিল। বুধবারও সিপিএম, বিজেপি, কংগ্রেসের সদস্যেরা বেশ কিছুক্ষণ অবস্থান কর্মসূচি করেন। গ্রামের রাস্তায় গাছের গুঁড়ি ফেলে অবরোধ করারও চেষ্টা হয়। কিন্তু শেষ হাসি হেসেছে তৃণমূলই।
পানিঘাটা পঞ্চায়েতে মোট আসন ১৯টি। তৃণমূল এবং কংগ্রেস ছ’টি করে, বিজেপি তিনটি এবং সিপিএম চারটি আসন পায়। ফলে কারও পক্ষেই একক ভাবে বোর্ড গঠন করা সম্ভব ছিল না। কে কাকে নিজের দিকে টানতে পারে, তা নিয়েই দড়ি টানাটানি চলছিল। এরই মধ্যে এক সিপিএম এবং দুই কংগ্রেস সদস্য তৃণমূলের দিকে ঝুঁকে পড়েন। তাতে তাদের ছয় থেকে নয়ে পৌঁছে যায়। কিন্তু তার পরেও সিপিএম, বিজেপি এবং কংগ্রেসের মিলিত শক্তির হাতে ছিল ১০টি আসন। ফলে তাদের বোর্ড গঠনও স্বাভাবিক ছিল।
বিরোধীদের অভিযোগ, প্রথম বার তৃণমূলের সদস্য কেশমত শেখ কৌশল করে বোর্ড গঠন প্রক্রিয়া ভেস্তে দেন। যদিও তিনি তা অস্বীকার করেছিলেন। তার পর থেকে এলাকায় চাপা উত্তেজনা ছিলই। কিন্তু বোর্ড গঠনের দ্বিতীয় দিন যত এগিয়ে আসে, বিরোধী শিবিরে ফাটলও তত চওড়া হতে থাকে। বিরোধী শিবিরের আক্ষেপ, মোটা টাকার বিনিময়ে শেষ সময়ে কংগ্রেস সদস্য গোলাম শেখও তৃণমূলে ভিড়ে যান। হিসেবটা উল্টে যায়। গোলাম শেখ অবশ্য টাকার কথা উড়িয়ে দাবি করেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে উন্নয়ন দেখে আমি তৃণমূলে যোগ দিয়েছি।’’
এ দিন তৃণমূলের একটি পক্ষের তরফে প্রধান পদে কেশমত শেখের নাম প্রস্তাব করা হয়েছিল। তাই নিয়ে দলের মধ্যেই ঝামেলা বেধে যায়। শেষ পর্যম্ত প্রধান হন আওসান আলি মোল্লা, উপপ্রধান আহিসিনা বিবি। ভোটাভুটি আর হয়নি।
সিপিএমের পঞ্চায়েত সদস্য আব্দুল জলিল শেখ অবশ্য দাবি করেন, ‘‘বোর্ড গঠনের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া মানা হয়নি। তাই ওই বোর্ড গঠন আমরা কেউ মানছি না। তৃণমূলের এই দখলদারির বিরুদ্ধে আদালতে যাব।’’