পুজো নিয়ে সংশয়ে নির্মলচর

চর রাজাপুর ও গিরিমণ্ডলের পাড়ায় পাটকাঠি দিয়ে অস্থায়ী মণ্ডপ ও প্রতিমা তৈরি প্রায় শেষের দিকে। কিন্তু অস্থায়ী মণ্ডপেও জল ঢুকে গিয়েছে।

Advertisement

মৃন্ময় সরকার

শেষ আপডেট: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৪:৫৫
Share:

জল ভেঙে: বৃহস্পতিবার নি র্মলচরে।

রাত পোহালেই মহালয়া। চারপাশে পুজো পুজো গন্ধ। এমন আবহে টানা তিন দিনের বৃষ্টিতে বানভাসি অবস্থা নির্মলচরের পাঁচটি গ্রামের। ফলে চরের দুর্গাপুজো কী ভাবে হবে তা নিয়ে কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে গ্রামবাসীদের। নির্মলচরে চারটে দুর্গাপুজো হয়। দুটো রাজাপুরে ও দুটো গিরিমণ্ডলের পাড়ায়।

Advertisement

প্রতি বছর বর্ষায় জল ঢোকে নির্মলচরে। তবে, বছর তিনেক ধরে পদ্মায় জল বাড়লেও তা কারও বাড়ির দোরগোড়ায় পৌঁছয়নি। কিন্তু এ বছর তিন দিনের বৃষ্টিতেই পাঁচটি গ্রামের প্রায় পনেরোশো পরিবার বিপদে পড়েছে। ঘর ছেড়ে বেশিরভাগ বাসিন্দা আশ্রয় নিয়েছেন চরের স্কুলগুলোতে। তাঁরা জানাচ্ছেন, মঙ্গলবার রাতে ঘুমোতে যাওয়ার সময় তেমন কিছু চোখে পড়েনি। কিন্তু সকালে ঘুম থেকে উঠে তাঁরা দেখেন, পদ্মাপাড় ছাড়িয়ে গ্রামের পথে চলে এসেছে জল। বুধবার মাঝরাতে জল বাড়ায় সমস্যায় পড়েন বাসিন্দারা।

চর রাজাপুর ও গিরিমণ্ডলের পাড়ায় পাটকাঠি দিয়ে অস্থায়ী মণ্ডপ ও প্রতিমা তৈরি প্রায় শেষের দিকে। কিন্তু অস্থায়ী মণ্ডপেও জল ঢুকে গিয়েছে। রাজাপুরের সুনীলকুমার মণ্ডল বলছেন, ‘‘পুজোর আগে যে এমনটা হবে তা ভাবিনি। গত তিন বছর এমনটা হয়নি বলে বুকে সাহস ছিল। কিন্তু এখন তো দেকছি সবই জলে গেল। জল নেমে গেলে ভাল। না হলে মাচার উপর প্রতিমা বসিয়ে পুজো করতে হবে।’’

Advertisement

চরের বাসিন্দাদের অভিযোগ, তিন দিন ধরে পদ্মায় জল বাড়লেও প্রশাসনের তরফে এখনও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। মেলেনি কোনও সাহায্য। আখরিগঞ্জ পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূলের লাভলি বিবি বলেন, ‘‘বৃহস্পতিবার দুপুরেই ওই চরে আমরা গিয়েছিলাম। মানুষদের থাকার জন্য স্কুলগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে। রাত থেকে খাওয়ার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। সমস্ত স্কুলে জেনারেটার পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া জল ওষুধ-সহ প্রয়োজনীয় অন্য সমস্ত কিছুই রাতের মধ্যেই পৌঁছে দেওয়া হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement