অর্পিতা চৌধুরী। ফাইল চিত্র
প্রয়াত হলেন বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরীর স্ত্রী অর্পিতা।
নিছক সাংসদের স্ত্রী নন, মুর্শিদাবাদ জেলা কংগ্রেস এবং তার সংস্কৃতির সঙ্গেও দীর্ঘ দিন জড়িয়ে থাকার সুবাদে অর্পিতা জেলায় পরিচিতি পেয়ে গিয়েছিলেন ‘দিদিভাই’ হিসেবে। মঙ্গলবার ভোর পৌনে পাঁচটায়, মাত্র আটচল্লিশ বছর বয়সে তাঁর মৃত্যুর সঙ্গে জেলায় হারানো কংগ্রেসের সেই সংস্কৃতিতেও বুঝি টান পড়ল।
তবে, বিদায় পথে সেই অর্পিতা বুঝি একই সঙ্গে মিলিয়ে দিয়ে গেলেন কংগ্রেস, দল ছেড়ে তৃণমূলে চলে যাওয়া নেতা-কর্মী এমনকি বিজেপি’র পথে পা বাড়ানো নেতাদেরও।
বেশ কিছু দিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন তিনি। সোমবার রাত থেকেই শ্বাসকষ্ট শুরু হওয়ায় বহরমপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল তাঁকে। মঙ্গলবার ভোরে সেখানেই মারা যান তিনি।
অধীরের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হওয়ায় কিছু দিন আগে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন অর্পিতার ভাই অরিত মজুমদার। তৃণমূলের বহরমপুর মহকুমা সভাপতি অরিত এ দিন বলেন, ‘‘ভোর সাডে চারটে নাগাদ দিদিকে ভেন্টিলেশন নিয়ে যাওয়া হয়। মিনিট পনেরোর মধ্যেই সব শেষ।’’
মৃত্যু মিলায়ে দেয়: অর্পিতার মরদেহের পাশে কংগ্রেসের দুই প্রাক্তনী। তৃণমূলের জেলা মুখপাত্র অশোক দাস ও বিজেপি নেতা হুমায়ুন কবীর। মঙ্গলবার বহরমপুরে।ছবি: গৌতম প্রামাণিক
খবর পেয়ে দিল্লি থেকে বহরমপুর রওনা হয়েছেন অধীর। তবে বিকেলেই বহরমপুরের গোরাবাজার শ্মশানে অর্পিতার শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। স্ত্রীর সঙ্গে শেষ দেখা আর হয়নি অধীরের। অধীর ফোনে বলেন, ‘‘আমাদের সম্পর্ক যেমনই হোক না কেন, একটা দীর্ঘ যুগ ধরে জীবনের নানা চড়াই-উতরাই, সুখ-দুঃখে ওঁর সঙ্গেই তো কাটিয়েছি। আজ সারা দিন শুধু সেই সব কথা ভিড় করছে।’’
তবে, অর্পিতার মৃত্যু সংবাদ পেয়েই এ দিন দল-মত ভুলে ভিড় করতে থাকেন জেলার রাজনৈতিক নেতারা। জেলা কংগ্রেস মুখপাত্র জয়ন্ত দাস বলেন, ‘‘অধীরদার ইচ্ছে মতো কয়েক ঘণ্টা পরে সৎকার করার অনুরোধ করা হয়েছিল। কিন্তু অধীরদা বহরমপুরে পৌঁছনোর আগেই দিদিভাই-এর সৎকার হয়ে গিয়েছে।’’