Tehatta

গলা টিপে খুন, ধৃত স্ত্রী ও শ্বশুর

 শনিবার সকালে এই খরব ছড়াতেই মৃতের বাড়ির সামনে চন্দনা বিবি ও তাঁর বাবাকে আটকে রেখে গ্রামবাসীরা বিক্ষোভ দেখান।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

তেহট্ট শেষ আপডেট: ১৩ জানুয়ারি ২০২০ ০৪:১২
Share:

নিহতের বাড়ির বাইরে ভিড় প্রতিবেশীদের। নিজস্ব চিত্র

স্ত্রীর বিরুদ্ধে স্বামীকে খুনে অভিযোগ আনল মৃতের পরিবার। মৃতের নাম মহব্বর মণ্ডল (৪০)। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে তেহট্টের গোবিন্দপুর গ্রামে। মহব্বরের পরিবার তাঁর স্ত্রী চন্দনা বিবি ও চন্দনার বাবা নুয়াজ খাঁ-এর নামে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছে।

Advertisement

শনিবার সকালে এই খরব ছড়াতেই মৃতের বাড়ির সামনে চন্দনা বিবি ও তাঁর বাবাকে আটকে রেখে গ্রামবাসীরা বিক্ষোভ দেখান। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় তেহট্ট থানার পুলিশ। চন্দনা বিবি ও তার বাবাকে আটক করে। মৃতদেহ তেহট্ট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং সেখান থেকেই ওই দেহ ময়নাতদন্তে পাঠায় পুলিশ। বিক্ষোভের সময়ে পুলিশ মৃতের স্ত্রী চন্দনা এবং চন্দনার বাবা নূয়াজ খাঁ-কে আটক করা হয়। রবিবার লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ওই দু’জনকে গ্রেফতার করে তেহট্ট থানার পুলিশ।

মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, চন্দনা বিবির সঙ্গে মহব্বরে বেশ কয়েক বছর আগে বিয়ে হলেও দাম্পত্য সম্পর্ক ভাল ছিল না। মৃতের কাকা সুরাবউদ্দিন মণ্ডল বলেন, ‘‘দু’বছর আগে কলকাতা ডাক্তার দেখাতে গিয়ে ফেরার পথে অন্য ছেলের সঙ্গে পালিয়ে যায় চন্দনা। এর পর আর বাড়ি ফেরেনি। ছ’মাস পর ফিরে আসে চন্দনা।’’ সেই সময়ে বিষয়টি মিটমাট করে নিলেও স্ত্রীয়ের সঙ্গে মহব্বরের মনোমালিন্য দূর হয়নি বলে জানান তিনি।

Advertisement

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মহব্বরের দু’টি সন্তান আছে। বড় ছেলে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী এবং মেয়ে অষ্টম শ্রেণিতে পাঠরত। মৃত মহব্বরের পরিবারের দাবি, শ্বশুরবাড়িতে থাকতে চাইত না চন্দনা। ছ’মাস আগে নিজের ছেলে ও মেয়েকে বাপের বাড়িতে রেখে আসে সে। নিজেও শ্বশুরবাড়িতে থাকত না।

পরিবারের অভিযোগ, শুক্রবার রাতে চন্দনা তার ছেলে-মেয়েকে বাপের বাড়ি রেখে একাই শ্বশুরবাড়িতে আসে। সেখানে এসে তার স্বামী মহব্বরকে গলা টিপে খুন করে বলে অভিযোগ। সকাল হতেই এই মৃত্যুর ঘটনা জানাজানি হয়। গ্রামবাসীরা ভিড় জমায়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এই কথা জানতে পেরে চন্দনার বাবা নূয়াজ খাঁ তার মেয়েকে বাড়ি নিয়ে যেতে এলে বাবা ও মেয়েকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখায় গ্রামবাসীরা।

তাঁদের প্রশ্ন ছিল— জামাই মারা গিয়েছে জেনেও মেয়ের বাবা তাকে নিয়ে চলে যাচ্ছে কেন? পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন