Lalgola

স্কুলে প্রাথমিকের জন্য ছ’লক্ষ টাকা দিয়েও মেলেনি চাকরি, লালগোলায় আত্মঘাতী যুবক

মঙ্গলবার সকালে তিনি আত্মঘাতী হলে তা জানতে পেরে তড়িঘড়ি আব্দুরের দেহ উদ্ধার করে আনে পরিবারের লোকজন। কোনও ময়না তদন্ত ছাড়া ওই দিনই দেহ কবর দেওয়া হয়। পরে ঘটনাটি জানাজানি হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

লালগোলা শেষ আপডেট: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০১:১৮
Share:

আব্দুর রহমান শেখ। নিজস্ব চিত্র।

প্রাথমিক স্কুলে চাকরির জন্য ছয় লক্ষ টাকা দিয়েও মেলেনি চাকরি। হতাশায় আত্মঘাতী হলেন এক যুবক। মৃত যুবক আব্দুর রহমান শেখের ঘরে থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়েছে। তাতে তিনি এই প্রতারণার কথা উল্লেখ করেছেন। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মুর্শিদাবাদের লালগোলায়। আব্দুরের বাবা মুফিজুদ্দিন শেখ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে এক জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিকে চাকরি পাওয়ার জন্য ছয় লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন ওই যুবক। কিন্তু মাসের পর মাস কেটে গেলেও চাকরি মেলেনি। এমন কি চাকরির জন্য যে সব নথি তিনি দিয়েছিলেন সেগুলোও ফেরত দেওয়া হয়নি। প্রতারিত হয়ে মঙ্গলবার বাড়ির কাছে চাষের জমিতে আত্মঘাতী হন লালাগোলার চাকরি প্রার্থী ওই যুবক।

লালগোলার পাইকপাড়া অঞ্চলের সারপাখিয়া গ্রামে ওই যুবকের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি সুইসাইড নোট । সেই সুইসাইড নোট অনুযায়ী, প্রথমে এসএসসি গ্রুপ ডি-র জন্য পরীক্ষা দিয়েছিলেন ওই যুবক। পরিচিত রেহেশান শেখের মাধ্যমে দিবাকর কনুই নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে পরিচয় হয় তাঁর। কান্দির বাসিন্দা হলেও কলকাতায় থাকতেন দিবাকর। ওই দিবাকরই তাঁকে গ্রুপ ডি-র চাকরির বদলে প্রাইমারি স্কুলে চাকরির লোভ দেখান। বেশ কয়েক দফায় তার কাছ সাড়ে ৬ লক্ষ টাকা আদায় করেন। এতো টাকা দেওয়ার পরেও চাকরি হয়নি আব্দুর রহমানের। টাকা ফেরত চাইতে গেলে তাঁকে হুমকি দেওয়া হয় বলে তিনি সুইসাইড নোটে জানিয়েছেন।

Advertisement

মঙ্গলবার সকালে তিনি আত্মঘাতী হলে তা জানতে পেরে তড়িঘড়ি আব্দুরের দেহ উদ্ধার করে আনে পরিবারের লোকজন। কোনও ময়না তদন্ত ছাড়া ওই দিনই দেহ কবর দেওয়া হয়। পরে ঘটনাটি জানাজানি হয়। এই ঘটনায় মধ্যস্থতাকারী সন্দেহে রেহেসান শেখ নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

এই আত্মঘাতী হওয়ার খবর জানতে পেরে আব্দুরের বাড়িতে যান ডিওয়াইএফআই কর্মীরা। কিন্তু তাঁর বাবার সঙ্গে দেখা হয়নি। তাঁর লালগোলা থানাতে গিয়ে ওসি সঙ্গে দেখা করেন।

এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় বহরমপুরের সাংসদ অধীর চৌধুরী বলেন, ‘‘বংলা জুড়ে নৈরাজ্য চলছে। মুখ্যমন্ত্রী প্রতিদিন ঠাকুর উদ্বোধন করছেন। আর অন্য দিকে কুকীর্তির উন্মোচন হচ্ছে।’’

ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এর পিছনে বড় কোনও প্রতারণা চক্র জড়িত আছে কি না তাও খতিয়ে দেখছে তারা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন