সম্পর্ক দৃঢ় করতে সীমান্তে ফুটবল

সীমান্তবাসীদের সঙ্গে সম্পর্ক দৃঢ় করতে ফুটবলকে হাতিয়ার করল বিএসএফ। শনিবার থেকে গেদে সীমান্তে কৃষ্ণনগর সেক্টরের ৫টি ব্যাটেলিয়ান নিয়ে এক ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন করেছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী। বিএসএফের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ওই টুর্নামেন্টের নাম দেওয়া হয়েছে ‘গোল্ডেন জুবুলি সেলিব্রেশন ফুটবল টুর্নামেন্ট’।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গেদে শেষ আপডেট: ১২ মার্চ ২০১৫ ০২:৫২
Share:

গেদেতে ফাইনালের একটি মুহূর্ত। বুধবার সুদীপ ভট্টাচার্যের তোলা ছবি।

সীমান্তবাসীদের সঙ্গে সম্পর্ক দৃঢ় করতে ফুটবলকে হাতিয়ার করল বিএসএফ।

Advertisement

শনিবার থেকে গেদে সীমান্তে কৃষ্ণনগর সেক্টরের ৫টি ব্যাটেলিয়ান নিয়ে এক ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন করেছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী। বিএসএফের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ওই টুর্নামেন্টের নাম দেওয়া হয়েছে ‘গোল্ডেন জুবুলি সেলিব্রেশন ফুটবল টুর্নামেন্ট’। বুধবার ছিল সেই খেলার ফাইনাল। ২৬ ব্যাটেলিয়নের বয়রা ও ১১৩ ব্যাটেলিয়নের গেদে-র মধ্যে টাই ব্রেকারে ৫-৮ গোলে বয়রা জেতে। এ দিনের ওই খেলা দেখেতে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের বিজিবি-র কুষ্টিয়ার সেক্টর কমান্ডার ডেপুটি ডাইরেক্টর জেলারেল জাভেদ সুলতান-সহ বিজিবির একাধিক আধিকারিক, বিএসএফের কৃষ্ণনগর সেক্টরের ডিআইজি পুস্পেন্দর সিংহ রাঠোর, ডিআইজি (জি) এসপি তিওয়ারি। খেলা দেখতে হাজির হন হাজার হাজার মানুষও। যা দেখে উচ্ছ্বসিত ডিআইজি পুস্পেন্দর সিংহ রাঠোর। তিনি জানান, তাঁরা চান সীমান্তের মানুষের সঙ্গে আমাদের জওয়ানদের সম্পর্কটা আরও সুদৃঢ় হোক। তাতে ভুল বোঝাবুঝি দূর হবে। “আর তা হলে সীমান্তের অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে” মত তাঁর।

বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে,এই টুর্নামেন্টে প্রতিটি ব্যাটেনিয়নের এলাকার যুবকদের মধ্যে সেরাদের বেছে নিয়ে তৈরি করা হয়েছে এক একটি টিম। তাদের প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়। সেই সব ব্যাটেলিয়ানের নামে নামকরণও কার হয়েছে প্রতিটি টিমের। তবে এবারই প্রথম নয়। এর আগেও সীমান্তে একইভাবে ভলিবল প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে বিএসএফ। এভাবেই তারা প্রতিটি ব্যটেলিয়ন এলাকা থেকে টিম তৈরি করেছিল। আর সেই টুর্নামেন্টর সেরা দলের সঙ্গে খেলা হয়েছিল বাংলাদেশের বিজিবি বা বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ আয়োজিত একই রকম টুর্নামেন্টের সেরা দলের সঙ্গে। পুষ্পেন্দর সিংহ রাঠোর বলেন, “ভলিবলের মতো আমরা ফুটবলেও বাংলাদেশের দলের সঙ্গে খেলার ব্যবস্থা করা যায় কিনা তা নিয়ে বিজিবির সঙ্গে কথা হচ্ছে। সেই সঙ্গে বিএসএফ ও বিজিবির মধ্যেও কোনও খেলার আয়োজন করা যায় কিনা তা কথাবার্তা চলছে।” বাংলাদেশের ৬ বিজিবি-র ডিরেক্টর মনিরুজ্জামানও বলেন, “আমারও কিন্তু চাইছি ভলিবলের মতো ফুটবলও হোক ভারতের সঙ্গে।”

Advertisement

বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুধু এদেশের মানুষের সঙ্গে সুসম্পর্ক নয় প্রতিবেশী দেশের সঙ্গেও সুসম্পর্ক তৈরির ক্ষেত্রেও ফুটবলকে হাতিয়ার করতে চাইছে তারা। বিএসএফের এক কর্তা বলেন, “আমাদের সঙ্গে এখন বিজিবির সম্পর্ক অনেকটাই ভাল। সীমান্তের অনেক সমস্যাই আমরা নিজেদের ভিতরে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করে নিই। এবার খেলার মাধ্যমে সেই সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হয়ে উঠবে বলেই আমাদের বিশ্বাস।” এ দিকে, ফুটবল ম্যাচের আয়োজনে খুশি সীমান্তের মানুষ। তাঁদের কথায়, বিএসএফের এই উদ্যোগের ফলে সীমান্তের যুব সমাজের মধ্যে একটা মানসিক পরিবর্তন আসবে। বিশেষ করে বিএসএফ যে ভাবে প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে ভাল খেলোয়াড়দের তুলে আনার চেষ্টা করছে তাতে সেই সব এলাকায় খেলাধুলায় যুব সম্প্রদায়ের উত্‌সাহ বাড়বে বলেই তাঁদের আশা। খেলা দেখতে আসা গেদের বাসিন্দা রাজকুমার মণ্ডল বলেন, “খুব ভাল উদ্যোগ। এই খেলাই প্রমাণ, কোনও অংশে পিছিয়ে নেই সীমান্তের বাসিন্দারা।”

ছাত্রীকে মারধর। কলেজ থেকে ডেকে এনে প্রথম বর্ষের এক ছাত্রীকে মারধর ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে জঙ্গিপুর কলেজ ক্যাম্পাসের বাইরে। ওই ছাত্রীর অভিযোগ, রফিজুল ইসলাম নামে ওই যুবকটি তাঁকে মাটিতে ফেলে মোটরবাইকে পিষে দেওয়ারও চেষ্টা করে। ওই ছাত্রীর চিত্‌কারে ছুটে আসে কলেজের ছাত্ররা। পরে ওই ছাত্রী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে বিষয়টি জানান এবং পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মাস ছয়েক আগে রফিজুলের সঙ্গে ওই ছাত্রীর বিয়ের জন্য দুই পরিবারের কথাবার্তা শুরু হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পিছিয়ে আসে ওই ছাত্রীর পরিবার। ওই ছাত্রীর অভিযোগ, তারপর থেকে ওই যুবক মাঝেমধ্যেই তাঁকে উত্যক্ত করত। এ দিনও কলেজে এসে রফিজুল ওই ছাত্রীকে বিয়ের জন্য চাপ দেয়। সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন ওই তরুণী। তারপরেই রফিজুল তাঁকে মারধর করে বলে অভিযোগ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন