ফাইল চিত্র।
সুন্দরবন এলাকায় উপকূলীয় মানচিত্র তৈরির জন্য নির্ধারিত সময়সীমা বেঁধে দিল জাতীয় পরিবেশ আদালত। তাদের নির্দেশ, ২০ জুলাইয়ের মধ্যে রাজ্য সরকারকে এই মানচিত্র তৈরি করতে হবে। এবং সে-দিনই আবার শুনানি হবে সংশ্লিষ্ট মামলার।
উপকূল মানচিত্র তৈরির সময়সীমা যে এ বার বেঁধে দেওয়া হতে পারে, সুন্দরবন নিয়ে মামলার ২২ মার্চের শুনানিতেই তার ইঙ্গিত দিয়েছিল জাতীয় পরিবেশ আদালত। বুধবার তা নিশ্চিত করে দিল বিচারপতি এস পি ওয়াংদি এবং বিশেষজ্ঞ-সদস্য রঞ্জন চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ।
সুন্দরবনের দূষণ নিয়ে এই মামলা স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে দায়ের করেছিল জাতীয় পরিবেশ আদালতই। সেই মামলায় উপকূল-বিধি অগ্রাহ্য করে অবৈধ নির্মাণ, হোটেলের বিষয়ে শুনানির সময় জানা যায়, ওই এলাকার কোনও নির্দিষ্ট উপকূলীয় মানচিত্র নেই। তা নিয়ে আদালত একাধিক বার নির্দেশ দেওয়ার পরেও কেন্দ্র বা রাজ্য মানচিত্রের কাজ শেষ করে উঠতে পারেনি। এ দিন ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, সুন্দরবন নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্য, দু’পক্ষই কার্যত ঘুমিয়ে ছিল। এ দিন কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়, মানচিত্র তৈরির যাবতীয় তথ্য রাজ্যকে দেওয়া হয়েছে। তার পরেই নির্দিষ্ট দিন জানিয়ে দেয় আদালত।
আরও পড়ুন: স্বামীকে মারছে প্রেমিক, ‘লাইভ’ শুনল
রাজ্যের পরিবেশ দফতরের বক্তব্য, কেন্দ্রের সঙ্গে জটিলতায় মানচিত্রের কাজে দেরি হয়েছে। তবে ফেব্রুয়ারিতে সব তথ্য পাওয়ার পর থেকে ওই কাজ চলছে দ্রুত গতিতে। সুন্দরবনের মতো এলাকার এই মানচিত্র তৈরির কাজ যথেষ্ট জটিল। তবে আদালতের নির্দেশ মাথায় রেখে ২০ জুলাইয়ের মধ্যে কাজ শেষ করে ফেলা সম্ভব বলে আশা করছে তারা।
সুন্দরবনের সম্পদ ম্যানগ্রোভ ধ্বংস করে দেদার নির্মাণকাজ চলছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। এ দিন আদালত সেই ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ব্লক ভূমি ও ভূমিরাজস্ব আধিকারিকের কাছ থেকে রিপোর্ট তলব করেছে।