Child Abuse

দেশে শিশু নির্যাতনের ঘটনায় পঞ্চমে পশ্চিমবঙ্গ

জি ডি বিড়লা স্কুলে সাড়ে তিন বছরের পড়ুয়ার যৌন হেনস্থার ঘটনায় রাজ্য যখন প্রতিবাদে উত্তাল, তখনই সামনে এল ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো বা এনসিআরবি-র চাঞ্চল্যকর তথ্য।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০১৭ ১৩:১৪
Share:

প্রতীকী ছবি।

জি ডি বিড়লা স্কুলে সাড়ে তিন বছরের পড়ুয়ার যৌন হেনস্থার ঘটনায় রাজ্য যখন প্রতিবাদে উত্তাল, তখনই সামনে এল ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো বা এনসিআরবি-র চাঞ্চল্যকর তথ্য।

Advertisement

ওই রিপোর্ট বলছে, ২০১৫ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে দেশে শিশুদের উপর নির্যাতনের হার বেড়েছে ১১ শতাংশ। ২০১৫ সালে শিশুদের উপর নির্যাতনের নথিভুক্ত অভিযোগের সংখ্যা যেখানে ছিল ৯৪ হাজার ১৭২, সেখানে ২০১৬ সালে এ সংক্রান্ত ১ লক্ষ ৬ হাজার ৯৫৮টি অভিযোগ নথিভুক্ত হয়েছে। আর এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ রয়েছে পঞ্চম স্থানে।

গত এক দশকে দেশে শিশুদের উপর ক্রমবর্ধমান নির্যাতনের চিত্র উঠে এসেছে ক্রাই বা চাইল্ড রাইটস অ্যান্ড ইউ-এর রিপোর্টেও। তথ্য জানাচ্ছে, ২০০৬ সাল থেকে ২০১৬-র মধ্যে শিশুদের উপর নির্যাতনের হার বেড়েছে ৫০০ শতাংশ। ২০০৬ সালে ১৮ হাজার ৯৬৭টি অভিযোগের ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছিল।

Advertisement

আরও পড়ুন: জি ডি বিড়লায় চলছে বৈঠক, বাইরে বিক্ষোভ

ভারতের রাজ্যগুলির দিকে খেয়াল করলে দেখা যাচ্ছে এই বিষয়ে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে উত্তর প্রদেশ, মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, দিল্লি ও পশ্চিমবঙ্গ। নথিভুক্ত অভিযোগের ৫০ শতাংশের বেশিই হয়েছে এই পাঁচ রাজ্যে। এর মধ্যে উত্তর প্রদশ রয়েছে প্রথম স্থানে (১৫ শতাংশ), দ্বিতীয় মহারাষ্ট্র (১৪ শতাংশ) ও তৃতীয় মধ্য প্রদেশ (১৩ শতাংশ)।

আরও পড়ুন: ‘ওই দিনের ঘটনা’র কথা স্বীকার করেছেন অভিযুক্ত, দাবি পুলিশের

২০১৬ সালে নথিভুক্ত অভিযোগের ৪৯ শতাংশই নথিভুক্ত হয়েছে অপহরণের আওতায়। ধর্ষণের অভিযোগের হার ১৮ শতাংশ। এই সময়ের মধ্যে মোট ১ লক্ষ ১১ হাজার ৫৬৯ জন শিশুর নিরুদ্দেশ হওয়ার অভিযোগ নথিভুক্ত হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে ৪১ হাজার ১৭৫ জন ছেলে ও ৭০ হাজার ৩৯৪ জন মেয়ে। নিরুদ্দেশ হওয়ার ঘটনায় প্রথম স্থানে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। ২০১৬ সালে এ রাজ্য থেকে মোট ৫৫ হাজার ৯৪৪ জন শিশুর নিরুদ্দেশ হওয়ার অভিযোগ নথিভুক্ত হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন