কংগ্রেসেই থাকব, দাবি নেপালের

পঞ্চায়েত ভোটে এই জেলায় কার্যত শূন্য থেকে শুরু করে নজরকাড়া ফল করেছে বিজেপি। লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের যে ক’টি আসনকে পাখির চোখ করেছে বিজেপি, তার মধ্যে অন্যতম পুরুলিয়া কেন্দ্র। এখনও ওই কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেনি। এই পরিস্থিতিতে নেপালবাবুর বিজেপিতে যোগ দেওয়ার রটনা, অনেক জল্পনা উসকে দেয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পুরুলিয়া শেষ আপডেট: ১৫ মার্চ ২০১৯ ০০:৫৪
Share:

পুরুলিয়া ১ ব্লকের চাকলতোড়ে কর্মিসভায় নেপালবাবু। ছবি: সুজিত মাহাতো

জেলা কংগ্রেস সভাপতি নেপাল মাহাতোর দলবদল করতে দিল্লি গিয়েছেন— এমন রটনায় বৃহস্পতিবার চমকে উঠেছিলেন জেলার অনেকেই। যদিও সেই জল্পনায় জল ঢেলে নেপালবাবু দাবি করলেন, তিনি কংগ্রেসেই রয়েছেন। থাকবেনও কংগ্রেসে। নেপালবাবুর সঙ্গে জেলার আর এক কংগ্রেস বিধায়কেরও এ দিন বিজেপিতে যোগ দেওয়ার খবর ছড়ায়। সেই বিধায়কের ফোন দিনভর বন্ধই ছিল। তাঁর ভাই দাবি করেছেন, মায়ের চিকিৎসা করাতে তিনি কলকাতায় গিয়েছেন।

Advertisement

পঞ্চায়েত ভোটে এই জেলায় কার্যত শূন্য থেকে শুরু করে নজরকাড়া ফল করেছে বিজেপি। লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের যে ক’টি আসনকে পাখির চোখ করেছে বিজেপি, তার মধ্যে অন্যতম পুরুলিয়া কেন্দ্র। এখনও ওই কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেনি। এই পরিস্থিতিতে নেপালবাবুর বিজেপিতে যোগ দেওয়ার রটনা, অনেক জল্পনা উসকে দেয়। রাজনীতি নিয়ে সচেতন মানুষজন থেকে বিভিন্ন দলের রাজনৈতিক নেতারাও ফোনে খোঁজখবর নিতে শুরু করেন। তারই মধ্যে এ দিন সকালে নেপালবাবু ও তাঁর দলের ওই বিধায়কের ফোন বন্ধ থাকায় তোলপাড় পড়ে যায়।

তবে, এ দিন দুপুরে নেপালবাবু পুরুলিয়া ১ ব্লকের চাকলতোড় ও বেলকুঁড়ি গ্রামে কর্মিসভা করে দলবদলের কথা অস্বীকার করেন। তিনি দাবি করেন, ‘‘আমার বিজেপিতে যোগ দেওয়ার এই গুজব কী ভাবে ছড়াল বুঝতে পারছি না। এর কোনও ভিত্তি নেই। কেউ বা কারা চক্রান্ত করে আমার ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করছে। আমি চার বারের বিধায়ক, জেলা কংগ্রেস সভাপতি এবং প্রদেশ কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি। সর্বোপরি আমি দেবেন মাহাতোর সন্তান। যিনি এই এলাকার কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠাতা। কংগ্রেস ছেড়ে অন্য কোনও দলে যাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। আমি এই অপপ্রচারের প্রতিবাদ করছি।’’

Advertisement

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

কর্মিসভায় বিজেপির কড়া সমালোচনাও শোনা গিয়েছে তাঁর মুখে। তিনি অভিযোগ করেন, ‘‘জেলার অনেক পঞ্চায়েতে মানুষ তৃণমূলের বিপক্ষে গিয়ে বিজেপিকে ভোট দিয়েছেন। কিন্তু, তাঁদের হতাশ করে বিজেপির অনেক জয়ী সদস্য তৃণমূলে চলে গেলেন। তাঁরা কথা রাখেননি। অথচ, কংগ্রেস কৃষকদের সরকারি মূল্যে ধান কেনা থেকে সেচ পরিকাঠামোর উন্নয়নের দাবিতে আন্দোলন করেছে। বিজেপিকে কিন্তু চাষিদের পাশে আন্দোলনে দেখা যায়নি!’’

আপনি কি লোকসভায় প্রার্থী হচ্ছেন? নেপালবাবু বলেন, ‘‘আমার নাম গিয়েছে। হাইকমান্ড চাইলে প্রার্থী হব।’’ তিনি দাবি করেন, সিপিএমের সঙ্গে আসন সমঝোতা হয়েছে। তিনি ভোটে লড়লে কংগ্রেসের প্রতীকে পুরুলিয়া লোকসভা কেন্দ্র থেকেই লড়বেন।

জেলার আর এক কংগ্রেস বিধায়কের বিজেপিতে যোগ দেওয়া সম্পর্কে নেপালবাবু বলেন, ‘‘ওই বিধায়ক ব্যক্তিগত কাজে কলকাতায় রয়েছেন। আমার সঙ্গে বুধবারও তাঁর কথা হয়েছে। তাঁর সম্পর্কেও ভিত্তিহীন প্রচার করা হয়েছে।’’ ওই বিধায়কের ভাই বলেন, ‘‘দাদা কলকাতায় মায়ের চিকিৎসা করাতে গিয়েছে। তাঁর বিজেপিতে যোগ দেওয়ার খবর নেই।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন