ছবি: এআই সহায়তায় প্রণীত।
অফলাইনে ভোটার তালিকায় নাম তুলতে পারবেন না নতুন ভোটারেরা। নাম তোলা যাবে শুধুমাত্র অনলাইনে। নতুন ভোটারেরা ফর্ম-৬ পূরণ করে নাম তুলতে পারবেন। এত দিন পর্যন্ত অফলাইন এবং অনলাইন, দু’ভাবেই নাম তোলার আবেদন জানানো যেত। কমিশন সূত্রে খবর, বিশেষ নিবিড় সংশোধন চলাকালীন সেই প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন করা হয়েছে। আপাতত অফলাইন নয়, অনলাইনেই নাম তুলতে হবে।
অনলাইনে নাম তোলার ক্ষেত্রে আধার কার্ড বাধ্যতামূলক। কমিশন জানিয়েছে, যেহেতু ‘ই-সাইন’-এর প্রয়োজন, তাই আধার কার্ডের মাধ্যমে ওটিপি দিয়ে তা করা হবে। আগামী ৯ ডিসেম্বর নিবিড় সংশোধনের খসড়া তালিকা প্রকাশ করবে কমিশন। তার পরেই তালিকায় নাম তুলতে আবেদন করতে পারবেন নতুন ভোটারেরা।
পশ্চিমবঙ্গে কত জন মৃত ভোটারের আধার কার্ড রয়েছে, সেই তথ্য দিতে বলেছিল নির্বাচন কমিশন। তথ্য সহকারে নির্বাচন কমিশনের কাছে সবিস্তার রিপোর্ট জমা দিয়েছে ইউআইডিএআই বা আধার কার্ড সংস্থা। কমিশনের পক্ষ থেকে এখন সেই তথ্যকে জেলাভিত্তিক হিসাবে তৈরি করা হচ্ছে, যা পশ্চিমবঙ্গের ২৪টি জেলার নির্বাচনী আধিকারিকের কাছে পাঠানো হবে। বৃহস্পতিবার রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজকুমার আগরওয়াল জানিয়েছেন, যদি কেউ মৃত ভোটারের এনুমারেশান ফর্ম পূরণ করে জমা দেন, তা হলে তাঁকে ডেকে পাঠিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে। নয়তো কমিশন সংশ্লিষ্ট সেই জেলা নির্বাচনী আধিকারিক থেকে শুরু করে বুথ স্তরের আধিকারিক— সকলের বিরুদ্ধেই আইনানুগ পদক্ষেপ করবে। অর্থাৎ মৃত ব্যক্তির নাম আর কোনও মতেই ভোটার তালিকায় রাখতে চায় না কমিশন। আগামী ৯ ডিসেম্বর প্রকাশিত খসড়া ভোটার তালিকায় পরিষ্কার হয়ে যাবে, রাজ্যে এই মুহূর্তে মৃত ভোটারের সংখ্যা কত।
যদিও রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজ জানিয়েছেন, এমন অনেক ব্যক্তি রয়েছেন, যাঁদের ভোটার কার্ড ছিল কিন্তু আধার কার্ড ছিল না, সেই সংখ্যাটাও নেহাত কম নয়। নিরাপত্তার কারণেই এখন এই সংখ্যাগুলি নির্বাচন কমিশন প্রকাশ করতে চাইছে না খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ হওয়ার আগে। নির্বাচন কমিশনের দাবি, ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে যে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা তৈরি হতে চলেছে, সেখানে কোনও মৃত ভোটারের নাম থাকবে না।