লাঞ্চের মেনু। মঙ্গলবার ‘নবান্ন’-এ।
ভাগাড়ের মাংসের ভয়ে ত্রস্ত আমজনতাকে আশ্বস্ত করবে যারা সেই রাজ্য সরকারই কী জানি কী হয়, এই আশঙ্কায় ‘নবান্ন’-এর সভাঘরে ডাকা স্বাস্থ্যকর্তাদের লাঞ্চের মেনু থেকে মাংসকে বাদ দিয়ে দিল! যেন ‘ভাগ মাংস ভাগ’ বলেই স্বাস্থ্যকর্তাদের দুপুরের পাত ভরিয়ে দিল নানা রকমের মাছের পদে।
কী ছিল মঙ্গলবার ‘নবান্ন’-এর সভাঘরে ডাকা স্বাস্থ্যকর্তাদের মেনুতে?
কী ছিল না! ছিল চিংড়ির মালাই কারি। ভেটকি ফ্রাই। কাতলার রসালো পদ। সঙ্গে কাঁচকলার কোপ্তা। শেষে ভরপেট মিস্টিমুখ। রসগোল্লা, পাঁপড়, চাটনি আর সন্দেশ দিয়ে ইতি।
আগামী বছর লোকসভা নির্বাচন। তার আগে রাজ্যের বেশির ভাগ হাসপাতালের বেহাল দশায় উদ্বিগ্ন প্রশাসন রাজ্যের সবক’টি সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল এবং সুপার-স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের প্রিন্সিপাল, সুপার ও বিভাগীয় প্রধানদের ডেকেছিল ‘নবান্ন’-এর সভাঘরে। ডাকা হয়েছিল রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের সব কর্তাকে।
আরও পড়ুন- নতুন আইটি পার্ক, ঘোষণা সচিবের
আরও পড়ুন- তৎপর মমতা, আধার কার্ড হল বুদ্ধের
বৈঠকে হাজির থাকা কর্তাদের কাছে রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজগুলির হালহকিকতের খবর নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানতে চান, খামতি রয়েছে কোথায় কোথায়। কোন কোন রোগ বেশি হচ্ছে, কেন হচ্ছে, কেন সে সব রোখা যাচ্ছে না। কী ভাবে স্বাস্থ্য পরিষেবার হাল দ্রুত ফেরানো যায়, স্বাস্থ্যকর্তা, হাসপাতালের সুপারদের কাছে তা জানতে চান মুখ্যমন্ত্রী। সামনে বর্ষা, তাই ডেঙ্গি, চিকনগুনিয়া ও নিপার মতো রোগগুলি ঠেকাতে আপৎকালীন কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, তার খবরও নেন মুখ্যমন্ত্রী।
বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘মাত্র কয়েক বছরে রাজ্যে স্বাস্থ্য পরিষেবার হাল যতটা ফিরেছে, তাতে আমরা সন্তুষ্ট। তবে তা আরও উন্নত করতে হবে। আর তা করতে হবে আরও দ্রুত গতিতে।’’