২৭ জুলাই গোর্খাদের শহিদ দিবস

বিনয় জানিয়েছেন, গোর্খাল্যান্ডের দাবি আদায়ের আন্দোলনের অংশ হিসাবে ১৯৮৬ সালের ২৭ জুলাই ইন্দো-নেপাল চুক্তির ৭ নম্বর ধারা পোড়ানোর কর্মসূচি নিয়েছিল পাহাড়ে তৎকালীন সব থেকে বড় দল সুবাস ঘিসিংয়ের নেতৃত্বাধীন জিএএলএফ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২২ জুলাই ২০১৯ ০৫:৪৮
Share:

মঞ্চে: একুশে জুলাইয়ের সভায় বিনয় তামাং। রবিবার কলকাতার ধর্মতলায়। ছবি: সুমন বল্লভ

রবিবার কলকাতায় তৃণমূলের শহিদ দিবসের মঞ্চে দাড়িয়ে গোর্খাদের যথাযোগ্য সম্মান দেওয়ার দাবি জানালেন মোর্চার একটি অংশের সভাপতি বিনয় তামাং। তৃণমূলের সহযোগী দলের নেতা হিসেবেই এ দিন মঞ্চে ভাষণ দেন বিনয়। তিনি বলেন, ‘‘২৭ জুলাই আমরাও দেশ জুড়ে শহিদ দিবস পালন করব। আমি চাই গোর্খা শহিদদের রাজ্য ও দেশ যথাযোগ্য মর্যাদা দিক।’’ এনআরসি চালু করে উত্তর-পূর্ব ভারতে গোর্খাদের উপর আঘাত হানার চক্রান্ত হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন বিনয়। অন্য দিকে এ দিন সকালে একটি বিবৃতি দিয়ে গোর্খাল্যান্ডের দাবিকে ‘সাংবিধানিক’ বলেছেন জিটিএ-র চেয়ারম্যান ও বিনয়পন্থী মোর্চার সাধারণ সম্পাদক অনীত থাপা।

Advertisement

বিনয় জানিয়েছেন, গোর্খাল্যান্ডের দাবি আদায়ের আন্দোলনের অংশ হিসাবে ১৯৮৬ সালের ২৭ জুলাই ইন্দো-নেপাল চুক্তির ৭ নম্বর ধারা পোড়ানোর কর্মসূচি নিয়েছিল পাহাড়ে তৎকালীন সব থেকে বড় দল সুবাস ঘিসিংয়ের নেতৃত্বাধীন জিএএলএফ। কালিম্পংয়ে সেই আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে মারা যান ১৪ জন কর্মী। তারপর থেকে প্রতি বছর পাহাড়ে ২৭ জুলাই শহিদ দিবস হিসাবে পালিত হয়। এ বার দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মোর্চার পক্ষ থেকে শহিদ দিবস পালনের প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে বলেই জানিয়েছেন বিনয়। কয়েক দিন আগে গোর্খাল্যান্ড ও জিটিএ-র বিরোধিতা করে শিলিগুড়ি শহরে মিছিল করেছিল ‘আমরা বাঙালি’। এ দিন সেই মিছিলের বিরোধিতা করেন অনীত। বলেন, ‘‘গোর্খাল্যান্ডের দাবি সাংবিধানিক। জিটিএ একটি সাংবিধানিক সংস্থা। তাই গোর্খাল্যান্ড ও জিটিএর বিরোধিতা করার প্রতিবাদ করছি। মুখ্যমন্ত্রীর কাছেও বিষয়টি নিয়ে আমরা অভিযোগ জানাব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন