গ্রাম্য বিবাদেও বোমা, জখম ৪

মালদহের কালিয়াচকের পর বোমাবাজির ঘটনা ঘটল বৈষ্ণবনগরেও। জমির ফসল নষ্ট করা নিয়ে অভিযোগে শনিবার রাত থেকেই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ব্যাপক বোমাবাজি চলে বৈষ্ণবনগরের কুম্ভীরা গ্রামে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মালদহ শেষ আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০১৫ ০২:০৪
Share:

হাসপাতালে আহত।—নিজস্ব চিত্র।

মালদহের কালিয়াচকের পর বোমাবাজির ঘটনা ঘটল বৈষ্ণবনগরেও। জমির ফসল নষ্ট করা নিয়ে অভিযোগে শনিবার রাত থেকেই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ব্যাপক বোমাবাজি চলে বৈষ্ণবনগরের কুম্ভীরা গ্রামে। রবিবার সকালেও বোমাবাজি অব্যাহত থাকে। তার মধ্যে পড়ে আহত হন এক নিরীহ গ্রামবাসীও। সব মিলিয়ে চার জন আহত হয়েছেন। তাঁদের তিন জনকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করানো হয়েছে। আর এক জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকায় এ দিনই তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় কলকাতায়।

Advertisement

গ্রামে বোমাবাজির ঘটনায় সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। ঘটনাস্থলে বৈষ্ণবনগর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী গেলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। তবে ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। মালদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অভিষেক মোদি বলেন, ‘‘গ্রাম্য বিবাদের জেরে উত্তেজনা ছড়ায়। পুলিশ গেলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। এখনও পর্যন্ত কোন তরফেই কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি। তবে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।’’

সম্প্রতি কালিয়াচকের আলিপুরে গ্রামের জুয়ার ঠেক নিয়ে গোলমালের জেরে বোমাবাজির ঘটনায় এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। ঘটনায় আহত হন আরও ছয় জন। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এ বার বোমাবাজির ঘটনায় উত্তাল হয়ে উঠল বৈষ্ণবনগরের কুম্ভীরা।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মাসখানেক ধরে ওই গ্রামের দুই পরিবারের মধ্যে গোলমাল চলছিল। শনিবার বিকেলে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি শুরু হয়ে যায়। সেই সময় কেউ আহত না হলেও এ দিন সকাল থেকেই দফায় দফায় দুই পক্ষ ফের বোমাবাজি শুরু করে। তখনই দু’পক্ষের তিন জন আহত হন। দুই গোষ্ঠীর বোমা লড়াইয়ের মাঝে পড়ে জখম হন এক গ্রামবাসী। পুলিশ জানিয়েছে, তিনি জমিতে চাষবাসের কাজ করেন। গ্রামবাসীরা আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে নিয়ে যান বেদরাবাদ গ্রামীণ হাসপাতালে। সেখানে এক জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা করে ছেড়ে দেওয়া হলেও বাকিদের স্থানান্তরিত করা হয় মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। তাঁদের এক জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় রেফার করা হয় কলকাতায়। দুই পক্ষই অবশ্য বোমাবাজির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। ঘটনার পর থেকে গ্রামে পুলিশি টহল চলছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন