TMC

Siliguri: স্বাধীনতা দিবসের রাতে গুলিবিদ্ধ শিলিগুড়ির ব্যবসায়ী, কালো কাপড়ে মুখ ঢেকে হামলা

রাতে দলীয় কার্যালয়ে বসেছিলেন বিদ্যুৎ সাহা। সেখানে দুই ব্যক্তি একটি লাল রঙের বাইকে করে এসে তাঁকে নিশানা করে গুলি চালায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১৬ অগস্ট ২০২২ ০১:০৬
Share:

ঘটনাস্থলে ভক্তিনগর থানা ও আশিঘর আউটপোস্টের পুলিশ। নিজস্ব চিত্র।

স্বাধীনতা দিবসের রাতে চলল গুলি। গুরুতর জখম হলেন এক জমি ব্যবসায়ী। সোমবার রাতে শিলিগুড়ির ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের সুকান্তনগরে ঘটনাটি ঘটে। জখম ব্যক্তির নাম বিদ্যুৎ সাহা। এলাকায় তৃণমূলকর্মী হিসাবেও পরিচিতি রয়েছেন বিদ্যুতের। বাড়ির পাশের দলীয় কার্যালয়ে বিদ্যুৎকে গুলি করা হয়। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে শিলিগুড়ি সেবক রোডের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে খবর হাসপাতাল সূত্রে।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে খবর, সোমবার রাতে তৃণমূলের কার্যালয়ে বসেছিলেন বিদ্যুৎ। সেখানে দুই ব্যক্তি একটি লাল রঙের বাইকে করে এসে তাঁকে নিশানা করে গুলি চালায়। হামলাকারীদের মুখ কালো কাপড়ে ঢাকা ছিল। গুলির জোরালো শব্দে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বিদ্যুতের বাড়ির লোকজন ও পড়শিরা তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যান। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ভক্তিনগর থানা ও আশিঘর আউটপোস্টের পুলিশ। পৌঁছন ডিসিপি (সদর) জয় টুডু-সহ এসিপি-রাও। পরে জয় বলেন, ‘‘দু’জন বাইকে করে এসে গুলি করেছে। আমরা সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছি।’’

তৃণমূল কার্যালয়ের উল্টো দিকের দোকানে বসে গুলির শব্দ শোনেন অসীমকুমার সাহা নামে বিদ্যুতেরই এক প্রতিবেশী। তিনি বলেন, ‘‘দোকানে ছিলাম। হঠাৎই গুলি চলার শব্দ পেলাম। দু’জন এসেছিল। এক জনকে বাইক নিয়ে চলে যেতে দেখলাম। অন্য জন কোথায় যে গেল, বুঝতে পারলাম না। ছায়ার মতো কিছু একটা দেখেছি। ভীষণ আতঙ্কে আছি। দোকান বন্ধ করে দিয়েছি। ওই দু’জন একসঙ্গে গিয়েছে না আলাদা, তা বলতে পারব না।’’

Advertisement

মাসখানেক আগে জমি নিয়ে একটি গোলমালের ঘটনায় বিদ্যুৎকে গ্রেফতার করে আশিঘর থানার পুলিশ। পরে অবশ্য জামিনে মুক্তি পান তিনি। এই হামলার সঙ্গে ওই ঘটনার যোগ থাকতে পারে বলে মনে করছেন পড়শিরা। প্রতিবেশী সঞ্জয় সাহা বলেন, ‘‘সন্ধ্যা নাগাদ বিদ্যুৎকে পার্টি অফিসেই বসে থাকতে দেখেছি। পরে ফোনে জানতে পারলাম, দু’জন এসে ওকে গুলি করেছে। বিদ্যুৎ জমির কারবারে যুক্ত। তৃণমূলও করেন। কেন ওর উপর হামলা হল বুঝতে পারছি না। তবে কিছু দিন আগেই একটা জমির মামলায় গ্রেফতার হয়েছিল বিদ্যুৎ।’’ কেন হামলা হল বিদ্যুতের উপর, সে ব্যাপারে কিছু বলতে পারছেন না তাঁর আত্মীয়েরাও। ব্যবসায়ীর আত্মীয় শ্যামলী চক্রবর্তী বলেন, ‘‘জামাইবাবুর গুলি লেগেছে শুনে ছুটে এলাম। কিন্তু কী কারণে ওঁর উপর হামলা হল, কারা করল, কিছুই বুঝতে পারছি না।’’

পুলিশ জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই বিদ্যুতের পড়শি ও আত্মীয়স্বজনদের জিজ্ঞাসাবাদ করে বেশ কিছু তথ্য হাতে এসেছে। একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার হয়েছে ঘটনাস্থল থেকে। শীঘ্রই আততায়ীদের পাকড়াও করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন জয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন