COVID-19

একশোর ‘টার্গেট’ ছুঁতে প্রচার

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার কোচবিহারে ৯টি শিবির থেকে করোনার প্রতিষেধক দেওয়ার কর্মসূচি পালন করা হয়। 

Advertisement

নমিতেশ ঘোষ

কোচবিহার শেষ আপডেট: ১৮ জানুয়ারি ২০২১ ০৩:৪৭
Share:

প্রতীকী ছবি।

অনেকেই দ্বিধা নিয়েই পৌঁছেছিলেন শিবিরে। কেউ কেউ তালিকায় নাম থাকার পরেও হাজির হননি। তার পরেও শনিবার প্রতিষেধক কর্মসূচির প্রথম দিনে সফলতার দোরগোড়ায় পৌঁছেছিল কোচবিহার জেলা স্বাস্থ্য দফতর। দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দিন ৭৫১ জন করোনার প্রতিষেধক নিয়েছেন। ‘টার্গেট’-এর যা ৮০ শতাংশ। যারা তা নেননি, কয়েকটি শিবিরে তাঁদের জায়গায় নতুনদের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয় দিনে একশো শতাংশ সফলতা পেতে নতুন করে স্বাস্থ্যকর্মীদের মনোবল বাড়ানোর চেষ্টা হচ্ছে। ওই কর্মসূচিতে জেলার সব চিকিৎসকদের সামিল করতেও প্রচার চালাচ্ছে স্বাস্থ্য দফতর।

Advertisement

কোচবিহারের জেলাশাসক পবন কাদিয়ান বলেন, ‘‘প্রথম দিনের ভ্যাকসিন কর্মসূচি খুব সুন্দর ভাবে হয়েছে।’’ জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রঞ্জিত ঘোষ বলেন, “যতটুকু দ্বিধা কারও মনে ছিল যা কেটে গিয়েছে। ধাপে ধাপে ভ্যাকসিন প্রকল্প এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে।”

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার কোচবিহারে ৯টি শিবির থেকে করোনার প্রতিষেধক দেওয়ার কর্মসূচি পালন করা হয়।

Advertisement

জেলা সদরের পাশাপাশি বাকি চারটি মহকুমায় শিবির করে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। প্রত্যেক শিবিরে ১০০ জন করে কর্মীকে ভ্যাকসিন দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছিল। সেই তালিকায় চিকিৎসকদের সঙ্গেই ছিলেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। কোচবিহার জেলা মেডিক্যাল কলেজ, শীতলখুচি ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের শিবিরে ১০০ জন করে অংশ নেন। তবে মাথাভাঙা, দিনহাটা, তুফানগঞ্জ, মেখলিগঞ্জের একাধিক শিবিরে ‘টার্গেট’ পূরণ হয়নি। একাধিক কেন্দ্রে উপস্থিতির হার কম দেখে পরে নতুন করে আরও কিছু নাম নথিভুক্ত করে নেওয়া হয়। তাঁদের ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। সোমবার দ্বিতীয় দফার কর্মসূচি। দ্বিতীয় দফা থেকে অবশ্য টিকাকরণ নিয়ে নজরদারি আরও তীব্র করছে স্বাস্থ্য দফতর। দফতর সূত্রো খবর, এ বার যে নামের তালিকা থাকবে অনলাইনে। সেই তালিকার নাম মিলিয়ে, প্রয়োজনীয় নথি দেখেই প্রতিষেধক দেওয়া হবে। তাঁদের মধ্যে যদি কেউ তা নিতে না চান, সে ক্ষেত্রে নতুন কাউকে সুযোগ দিলেও সেই তথ্য অনলাইনে নথিভুক্ত করতে হবে। যিনি প্রতিষেধক নিলেন না, কী কারণে নিলেন না, তা নিয়েও কথা বলবেন স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা।

স্বাস্থ্য দফতরের একাধিক কর্তা অবশ্য স্বীকার করেছেন, প্রথম দিনে প্রতিষেধক নিয়ে অনেকেই সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পাচ্ছিলেন না। সেই তালিকায় যেমন

স্বাস্থ্যকর্মীরা ছিলেন, তেমনই ছিলেন বেশ কিছু চিকিৎসক। অবশ্য আরেকটি অংশ ভ্যাকসিন নিয়ে উৎসাহী ছিলেন। চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের অনেকেই যখন করোনার প্রতিষেধক নিয়ে বাড়ি ফিরতে শুরু করেন, তখন অন্যদের মধ্যে আগ্রহ তৈরি হয়। এক স্বাস্থ্য আধিকারিক বলেন, “অনেকেই প্রথম দিনে একটু বুঝে নেওয়ার মানসিকতায় ছিলেন। পরে বেশিরভাগ চিকিৎসক-কর্মীরা ভ্যাকসিন নিতে শুরু করলে পরিস্থিতি পালতে যায়।” তিনি আরও জানান, বাইরের কারও নাম যাতে (স্বাস্থ্যকর্মী-চিকিৎসক বাদে) প্রতিষেধক নেওয়ার তালিকায় না থাকে সে দিকেই নজর দেওয়া হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন