হোলির দিন বাড়ির চৌহদ্দিতে ঢুকে তাণ্ডব চালিয়েছিল মদ্যপেরা। চলে কটূক্তিও। এরই জেরে মায়ের বকুনি খায় একাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রী। তারপরেই অঘটন।
দুপুরেই ঘর থেকে উদ্ধার হয় জলপাইগুড়ির দেউনিয়া পাড়ার বাসিন্দা ওই কিশোরীর ঝুলন্ত দেহ। ঘটনার জেরেই ওই ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ৷ এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে৷ যদিও থানায় কারও নামে এখনও কোন অভিযোগ দায়ের হয়নি৷ তবে পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে৷
গোটা ঘটনার সূত্রপাত সোমবার হোলির দিন৷ ওইদিন দুপুরে সতেরো বছরের ওই ছাত্রীর বাড়িতে মদ্যপ অবস্থায় যায় কয়েকজজন যুবক৷ গেটে ধাক্কাধাক্কি করে তারা চৌহদ্দিতে ঢুকে পরে৷ তার খানিক্ষণ পর আবার বেরিয়ে যায়৷ ছাত্রীর মামা জানান, বাড়ি থেকে বেরোনোর সময় ওই যুবকরা চিৎকার করে বলতে বলতে যান শ্বশুর বাড়িতে এসে মদ খেয়ে গেলাম৷ এটা তাঁর দিদির কানে যায়৷ এ জন্য তাঁর দিদি মেয়েকে একটু বকাবকি করেন৷ আর তাতেই এই কাণ্ড।
তিনি বলেন,‘‘দিদি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন৷ সুস্থ হলেই তাঁর থেকে ওদের নাম জেনে থানায় অভিযোগ করব৷’’ওই মদ্যপ যুবকদের শাস্তি দাবি করেছে ছাত্রীর পরিবার৷
এই ঘটনায় পুলিশ ইতিমধ্যেই একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে৷ জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার অমিতাভ মাইতি জানিয়েছেন, মৃতার বাড়ির লোকেরা নির্দিষ্ট কোনও অভিযোগ করেননি৷ করলে নিশ্চয়ই ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷