এলাকায় কর্তৃত্ব নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল দিনহাটার পুটিমারি এলাকা। মঙ্গলবার বেলা ১২টা থেকে দফায় দফায় গণ্ডগোলের ঘটনায় পাঁচটি বাড়ি ভাঙচুর করা হয়। ওই ঘটনায় ৫ জন জখম হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে একজনকে দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
দলীয় সূত্রের খবর, যুব সংগঠনের সদস্যদের সঙ্গে ওই এলাকার দলের নেতা-কর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। ওই ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে। দিনহাটার তৃণমূল বিধায়ক উদয়ন গুহ অবশ্য গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, “ব্যক্তিগত রেষারেষির জেরে ওই একটা গণ্ডগোল হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। দলের কেউ জড়িত থাকলে তা দেখা হবে।”
যুব তৃণমূলের সদস্যদের কয়েকজন অভিযোগ করেন, উদয়নবাবুর অনুগামীরাই এ দিন বেলা ১২ টা থেকে ‘সশস্ত্র’ মিছিল বের করে গ্রামে হামলা চালায়। মিছিল খারিজা বালাকুড়া, জড়াবাড়ি, খরখরিয়া, নাজিরভিটা এলাকায় হামলা চালায় বলে দাবি। যুবকর্মী রেজাউল হক, নবিউল হক, আনন্দ বর্মন সহ ৬ জনের বাড়ির ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। দু’টি দোকান ভাঙচুর করা হয়। অভিযোগ, পুটিমারি ১ নম্বর ব্লক পঞ্চায়েতের সভাপতি সুভাষ বর্মনের নেতৃত্বে ওই মিছিল বের হয়। সুভাষবাবু অবশ্য ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, “আমি দলের মিটিঙে ব্যস্ত আছি। এমন ঘটনা ঘটেছে বলে আমার জানা নেই।” দিনহাটা ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি নুর আলম হোসেন বলেন, “সবাই তৃণমূল করে। গণ্ডগোল ঠিক নয়। আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি মিটবে বলে আশা করি।”
দলীয় সূত্রের খবর, দিনহাটার একাধিক এলাকায় যুবকর্মীদের সঙ্গে দলের প্রধান সংগঠনের কর্মী-নেতাদের বিরোধ চরমে উঠেছে। ওকরাবাড়িতে মাদ্রাসা নির্বাচন ঘিরে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে। ওই নির্বাচনে যুব ও প্রধান দলের নেতারা আলাদা আলাদা প্রার্থী দেয়। যুব প্রার্থীরাই জয়ী হয়। পুটিমারিতেও যুব কর্মীরা একাধিক মিছিল মিটিং সংগঠিত করে। সোমবার রাতে পুটিমারি চেকপোস্টের পাশে সভার ডাক দেন তাঁরা। সেই মিটিং শুরুর সময় থেকেই দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়।
যুব তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি অর্ঘ্যরায় প্রধান বলেন, “পুরো ঘটনা আমি এখনও জানি না। খোঁজখব নিয়ে পরে মন্তব্য করব।”