দু’বার ঘোষণার পরও পুরসভা চালু হয়নি চাঁচলে। আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে পুরসভা আদৌ চালু হবে কিনা, এই প্রশ্ন এখনও ঘুরপাক খাচ্ছে শহরবাসীর মনে। পুরসভা চালু করতে টালবাহানার অভিযোগে তাই আন্দোলনে নামল আরএসপি।
বুধবার চাঁচল বাসস্ট্যান্ডে ছ’ঘণ্টা ধরে প্রতীকি গণ অবস্থান করে বিক্ষোভ দেখানো হয়। পুরসভা চালু না হলে আগামী দিনে বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুমকি দিয়েছেন তাঁরা। একই দাবিতে আন্দোলনে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে কংগ্রেসও। যদিও প্রশাসনের কাছে এর সদুত্তর নেই।
২০১০ সালের ১৬ জুলাই বামেদের তরফে চাঁচল পুরসভা হল বলে ঘোষণা করা হয়। পালাবদলের পর ২০১৪ সালের ১১ জুন তৃণমূল সরকারও একই ঘোষণা করে।
আরএসপি নেতা তথা মালতীপুরের প্রাক্তন বিধায়ক বলেন, ‘‘বামেরা ঘোষণা করেছিল। ক্ষমতায় ফিরলে চাঁচল পুরসভা চালু হয়ে যেত। কিন্তু বর্তমান সরকার একের পর এক জেলা তৈরি করলেও পুরসভা চালুর উদ্যোগই নেই।’’ একই দাবি চাঁচলের কংগ্রেস বিধায়ক আসিফ মেহবুবেরও। ২০০১ সালের ১ এপ্রিল চাঁচল মহকুমা গঠন হয়। তার পর থেকেই সর্বস্তরে চাঁচলকে পুরসভা করার দাবি ওঠে। প্রশাসন জানায়, ১০টি মৌজা নিয়ে ২০০৫ সালেই চাঁচলকে পুরসভা করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। পুরসভা করতে কমপক্ষে ২০ হাজার জনসংখ্যা থাকা দরকার। সেখানে প্রস্তাবিত পুরসভায় ২০০১ সালের গণনা অনুসারে জনসংখ্যা ৪২৮৭৯। সেই সংখ্যা এখন তিনগুণ বেড়েছে। অথচ মহকুমা সদরের বাসিন্দা হয়েও রাস্তা, পানীয় জল, শহরে পথবাতির পরিষেবা থেকে বঞ্চিত তাঁরা। প্রশাসনিক আধিকারিকেরাও তা স্বীকার করে নিচ্ছেন যে একমাত্র পুরসভা হলেই তা সম্ভব।
চাঁচলের মহকুমাশাসক পুষ্পক রায় বলেন, ‘‘আমাদের কাছে এখনও চাঁচল পুরসভা গঠনের বিজ্ঞপ্তি আসেনি। পুরসভার জন্য যা প্রয়োজন তার সব কিছুই রাজ্য সরকারের কাছে পাঠানো রয়েছে। সরকারের নির্দেশ মেনেই আমরা কাজ করব।’’