স্কুলের জমি দখলের অভিযোগে বিক্ষোভ

স্কুলের জন্য দান করা জমি বিক্রি করে দিচ্ছে জমি মাফিয়ারা। এই অভিযোগে বিদায়ী উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রীর বাড়িতে গিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন বাসিন্দারা। রবিবার সকালে শিলিগুড়ির কলেজ পাড়ায় উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেবের বাড়ির সামনে এই বিক্ষোভে সামিল ছিলেন শতাধিক বাসিন্দা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০৭ মার্চ ২০১৬ ০২:১৩
Share:

স্কুলের জন্য দান করা জমি বিক্রি করে দিচ্ছে জমি মাফিয়ারা। এই অভিযোগে বিদায়ী উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রীর বাড়িতে গিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন বাসিন্দারা। রবিবার সকালে শিলিগুড়ির কলেজ পাড়ায় উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেবের বাড়ির সামনে এই বিক্ষোভে সামিল ছিলেন শতাধিক বাসিন্দা।

Advertisement

তাঁদের অভিযোগ, ঢাকেশ্বরী কালীবাড়ি এবং সেখানে একটি স্কুলের জন্য অনেক দিন আগে দু’বিঘা জমি দান করা হয়েছিল। তার মধ্যে ২০ কাঠা জমি মাফিয়ারা বিক্রি করে দিয়েছে। তাদের সঙ্গে স্থানীয় তৃণমূলের একাংশের যোগ রয়েছে। ওই এলাকা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেবের বিধানসভা এলাকার মধ্যে পড়ে। সে কারণে মন্দির এবং স্কুলের ওই জমি যাতে জমি মাফিয়ারা নিতে না পারে সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে সরব হন তাঁরা।

গৌতমবাবু বলেন, ‘‘ওই এলাকার লোকজন এসেছিলেন। তাঁদের দাবি মন্দির, স্কুলের জন্য এক সময় জায়গা দান করা হয়েছিল। কেউ বা কারা সেই জায়গা থেকে একাংশ বিক্রি করেছেন। বিএলআরওকে বিষয়টা দেখতে বলব। যদি বাসিন্দাদের দাবি ঠিক হয় তা হলে মন্দির-স্কুলের জায়গা কোনও ভাবেই বিক্রি করা যাবে না।’’

Advertisement

বাসিন্দাদের কয়েকজন জানান, যে জমি দান করা হয়েছিল তার মধ্যে ১০ কাঠা জমিতে মন্দির এবং দেড় বিঘা জমিতে স্কুল করার কথা ছিল। ঢাকেশ্বরী মন্দির এবং ঢাকেশ্বরী প্রাথমিক স্কুলের নামে জমিটি দান করা হয়েছিল। আগে একটি প্রাথমিক স্কুল ছিল। কিন্তু এখন সেটিও নেই। মন্দিরটি রয়েছে। স্কুলটি আবার তৈরি করতে পরবর্তীতে ২০১০ সালে একটি কমিটি হয় বলে বাসিন্দাদের দাবি। ওই কমিটির সম্পাদক কমল বারুই বলেন, ‘‘২০ কাঠায় এখন মন্দিরটিই রয়েছে। বাকি ২০ কাঠা বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। যাকে বিক্রি করা হয়েছে কয়েকদিন আগে তিনি জমিতে এলে আমরা বাধা দিয়েছি।’’ এর আগেও ওই জায়গা দখলের চেষ্টা হয় বলে অভিযোগ। কমলবাবুর দাবি, বাধা দেওয়ায় তাদের কয়েকজনের নামে মিথ্যে মামলাও হয়েছে। কিন্তু কোনও ভাবেই স্কুলের জায়গা তাঁরা দখল হতে দেবেন না। তাঁদের কাছে সমস্ত নথি রয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন