বারো বছরেও হয়নি বাইপাস

১২ বছর ধরে কাজ চলছে। মালদহে এখনও জাতীয় সড়কে শেষ হল না বাইপাসের কাজ। তার জেরেই ইংরেজবাজারের সুস্থানি মোড় থেকে পুরাতন মালদহের মঙ্গলবাড়ি পর্যন্ত রোজকার যানজটে নাকাল হচ্ছেন বাসিন্দারা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মালদহ শেষ আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০১৭ ০১:৫২
Share:

অসমাপ্ত: শেষ হয়নি অ্যাপ্রোচ রোডের কাজ। —নিজস্ব চিত্র

১২ বছর ধরে কাজ চলছে। মালদহে এখনও জাতীয় সড়কে শেষ হল না বাইপাসের কাজ। তার জেরেই ইংরেজবাজারের সুস্থানি মোড় থেকে পুরাতন মালদহের মঙ্গলবাড়ি পর্যন্ত রোজকার যানজটে নাকাল হচ্ছেন বাসিন্দারা।

Advertisement

২০০৫ সালে মালদহে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের কাজ শুরু হয়। সেই সঙ্গেই শহরের বাইরে দিয়ে ইংরেজবাজারের যদুপুর থেকে পুরাতন মালদহের নারায়ণপুর পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বাইপাস তৈরির কাজ শুরু হয়। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, শুরুর ১০ বছরের মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। তবে ১২ বছর পেরোলেও এখনও ৩০ শতাংশ কাজ বাকি। জেলার বণিক মহল থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের ক্ষোভ, জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ নিজেদের খেয়ালখুশি মতো কাজ করছেন। যার জন্য এখনও বহু কাজ বাকি। যদিও মাস তিনেকের মধ্যে কাজ সম্পন্ন হবে বলে দাবি জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ।

জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে, মহানন্দা নদীর উপরে তৃতীয় সেতুর কাজ এখনও সামান্য বাকি। তৈরি হয়নি অ্যাপ্রোচ রোডও। বাইপাসের রাস্তায় কেবল মাত্র মাটি ফেলার হয়েছে। কালিয়াচক, সুজাপুর, জালালপুরে এখনও কাজ শুরুই হয়নি। বাইপাস তৈরি না হওয়ায় ইংরেজবাজার ও মঙ্গলবাড়িতে রোজ যানজটে আটকে নাজেহাল হতে হচ্ছে সাধারণ মানুষদের।

Advertisement

মালদহের মার্চেন্ট চেম্বার অফ কর্মাসের সম্পাদক উজ্জ্বল সাহার ক্ষোভ, ‘‘যানজটের জেরে আমাদের ব্যবসা মার খাচ্ছে। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনকে একাধিকবার জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি।’’ সমস্যা না মিটলে কেন্দ্রের সংশ্লিষ্ট দফতরের মন্ত্রীকে চিঠি দেওয়ার সঙ্গে জেলা জুড়ে আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারিও দিয়েছে জেলার বণিক মহল। জাতীয় সড়কের প্রজেক্ট ম্যানেজার দীনেশ হানসারিয়া বলেন, ‘‘মহানন্দা নদীর উপরে তৃতীয় সেতুর কাজ প্রায় শেষ। এখন শুধু অ্যাপ্রোচ রোড তৈরির কাজ চলছে। আশা করি খুব শীঘ্রই বাইপাস তৈরির কাজ শেষ হয়ে যাবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন