ফুলবাড়ি নিয়ে ক্ষুব্ধ অশোক

ফুলবাড়ি স্থলবন্দরের হাল ফেরাতে রাজ্যের হয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সওয়াল করলেন শিলিগুড়ির মেয়র অশোক ভট্টাচার্য। বন্দর দিয়ে আমদানি রফতানি প্রায় বন্ধ হতে বসার কারণে কেন্দ্রের ‘দোষ’ও দেখলেন অশোকবাবুরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০২:১০
Share:

ফুলবাড়ি সীমান্তে পরিদর্শনে অশোক ভট্টাচার্য-সহ কমিটির অন্য সদস্যেরা। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক

ফুলবাড়ি স্থলবন্দরের হাল ফেরাতে রাজ্যের হয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সওয়াল করলেন শিলিগুড়ির মেয়র অশোক ভট্টাচার্য। বন্দর দিয়ে আমদানি রফতানি প্রায় বন্ধ হতে বসার কারণে কেন্দ্রের ‘দোষ’ও দেখলেন অশোকবাবুরা। তাতেই তৈরি হয়েছে জল্পনা। পাঁচ দিন আগেই রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে অগণতান্ত্রিক আচরণের অভিযোগ তুলে হাইকোর্টে মামলা দায়েরের হুমকি দিয়েছিলেন অশোকবাবু। বামেদের একাংশের দাবি, রাজ্যের বরাদ্দ অনুদান নিয়েই পুরসভা পরিচালনা করতে হয়। সে কারণে, রাজ্যের সঙ্গে প্রশাসনিক ‘সম্পর্ক’ খারাপ করতে রাজি নন অশোকবাবু। তাই রাজনীতি আর প্রশাসনিক দায়িত্বকে আলাদাই রেখেছেন অশোকবাবু।

Advertisement

বুধবার বিধানসভার শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির প্রতিনিধি দল ফুলবাড়ি স্থল সীমান্ত বন্দর পরিদর্শনে যায়। অশোকবাবু সেই কমিটির চেয়ারম্যান। চূঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার, মুর্শিদাবাদের সিপিএম বিধায়ক কানাই মণ্ডল ও দুর্গাপুরের কংগ্রেস বিধায়ক বিশ্বনাথ পারিয়ালও ছিলেন। অশোকবাবুর দাবি, ‘‘ কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করেছি। এসজেডিএ-টি পার্কে রাজ্যের প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ রয়েছে। সেগুলিও শুনেছি।’’

অশোকবাবু জানান, ফুলবাড়ি স্থল সীমান্ত বন্দরের যথাযথ ব্যবহার হচ্ছে না। এই বন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি প্রায় বন্ধ হতে বসলেও কেন্দ্রীয় সরকার কোনও পদক্ষেপ করছে না। এরপরেই অশোকবাবু বলেন, ‘‘বন্দরের পরিকাঠামো গড়ে দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারে প্রকল্প রয়েছে। কিন্তু কেন্দ্র সে সব কিছুই করছে না।’’ তিন বছর আগে ফুলবাড়ি দিয়ে পণ্য যাতায়াতের অনুমতি মেলে। কিছু দিন একাধিক পণ্য আমদানি-রফতানি হলেও, বর্তমানে পাথর ছাড়া কিছুই যায় না। কমিটির আক্ষেপ, প্রচুর সম্ভাবনা থাকলেও ফুলবাড়ি সীমান্তকে কেন্দ্র করে শিলিগুড়ি এবং লাগোয়া এলাকার অর্থনীতি কোনও সুবিধে পাচ্ছে না। অশোকবাবুর জবাব, ‘‘দোষ কেন্দ্রের। রাজ্যকে এ বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রের কাছে আরও তদ্বির করতে হবে।’’

Advertisement

সম্প্রতি বেশ কিছু বিষয়ে অশোকবাবুর নেতৃত্বাধীন পুর কর্তৃপক্ষের ভূমিকার সমালোচনা করা কংগ্রেস কাউন্সিলর দলের পরিষদীয় দলনেতা তথা বোরো চেয়ারম্যান সুজয় ঘটকের মন্তব্য, ‘‘পুরসভা হোক বা ফুলবাড়ি, কারও দোষ না খুঁজে কী ভাবে উন্নয়ন সম্ভব, অশোকবাবুরা সেই ব্যবস্থা করলে বাসিন্দারা উপকৃত হবেন।’’

ফুলবাড়ি থেকে অশোকবাবুদের কমিটির প্রতিনিধিরা ফুডপার্ক এবং টি পার্কে যান। দু’জায়গাতেই অবশ্য স্থানীয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ শুনতে হয়েছে বিধানসভার স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্যদের। ফুডপার্কের একটি বিস্কুট প্রস্তুতকারী সংস্থা অভিযোগ করে, পার্কের চারদিকে এসজেডিএ-র সীমানা পাঁচিল তৈরি করার কথা থাকলেও তা হয়নি। পানীয় জল সরবরাহ করার কথা থাকলেও তা হয় না। সীমানা পাঁচিল না থাকায় বহিরাগতরা সব সময়েই পার্কের ভিতর ঘোরাফেরা করে বলে দাবি। কারখানায় ঢোকা-বের হওয়ার গাড়ি আটকে চাঁদাও দাবি করে। টি পার্কের জমি সমস্যা মেটাতেও এসজেডিএ উদ্যোগী হচ্ছে না বলে অভিযোগ জানানো হয় কমিটি। আজ, বৃহস্পতিবার শিলিগুড়িতে সব পক্ষকে নিয়ে বৈঠক রয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement