Saikat Chatterjee

সৈকতের জামিনের আবেদন পুজোর পরে

সৈকতকে গত বুধবারই সংশোধানাগার থেকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালের ‘সিসিইউ’ (ক্রিটিকাল কেয়ার ইউনিট)-এ রাখা হয়েছিল, এ দিন রাখা হয়েছে কেবিনে।

Advertisement

অনির্বাণ রায়

জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ২০ অক্টোবর ২০২৩ ০৮:১৪
Share:

সৈকত চট্টোপাধ্যায়।

Advertisement

প্রস্তুতি নিলেও, পুজোর ছুটির আগে শেষ কাজের দিনে জলপাইগুড়ি জেলা আদালতে সৈকত চট্টোপাধ্যায়ের জামিনের আবেদন করা হল না। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে জেলা জজের এজলাসে জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি তথা জলপাইগুড়ির উপপুরপ্রধান সৈকতের জামিনের আবেদন দাখিলের প্রক্রিয়া শুরু হয়। যদিও শেষ মুহূর্তে পিছিয়ে আসেন আইনজীবীরা। তাঁদের দাবি, এ দিন ছিল শেষ কাজের দিন। পুরো শুনানি হতে পারত না। অযথা, মামলাটি নিয়ে জটিলতা তৈরি হত বলে দাবি। সৈকতের আইনজীবী সন্দীপ দত্ত বলেন, ‘‘ছুটির পরে, আদালতে কাজ শুরু হোক। তার পরে, ফের জামিনের আবেদন করা হবে।’’ আগামী ১ নভেম্বর ফের সৈকতকে আদালতে তোলা হবে।

সৈকতকে গত বুধবারই সংশোধানাগার থেকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালের ‘সিসিইউ’ (ক্রিটিকাল কেয়ার ইউনিট)-এ রাখা হয়েছিল, এ দিন রাখা হয়েছে কেবিনে। সৈকতকে কেন হাসপাতালের কেবিনে রাখা হয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। সমাজমাধ্যমেও নানা মন্তব্য (আনন্দবাজার সত্যতা যাচাই করেনি) ছড়িয়ে পড়ছে। যদিও জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজের সুপার কল্যাণ খান বলেন, ‘‘চার চিকিৎসককে নিয়ে একটি মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। সৈকত চট্টোপাধ্যায়ের বুকে সংক্রমণ আছে। তিনি ভাল শুনতেও পাচ্ছেন না।’’

Advertisement

এ দিকে, সৈকত পুরসভার উপপুরপ্রধান থাকতে পারেন কি না তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে তৃণমূলের অন্দরে। দলের একটা অংশের দাবি, সৈকত কবে সংশোধনাগার থেকে বেরোতে পারবেন, তার কোনও নিশ্চয়তা নেই। এই অবস্থায় পুরসভার একাধিক দফতরের কাজকর্ম স্তব্ধ হয়ে পড়েছে। আর্থিক বিষয়ে সিদ্ধান্ত হচ্ছে না। পুজোর আগে, শহরের রাস্তা-সহ পরিকাঠামো সংস্কারেও সমস্যা
হচ্ছে।

স্থায়ী উপপুরপ্রধান না থাকায়, পুরসভায় ‘সাংবিধানিক সঙ্কট’ তৈরি হয়েছে। জেলা থেকে তৃণমূল রাজ্য নেতৃত্বকে পুরো বিষয়টি জানানো হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। অন্য দিকে, পুরসভার প্রতিনিধিদের একাংশ লিখিত ভাবে পুরপ্রধানকে জানিয়েছেন, উপপুরপ্রধান ফিরে না আসা পর্যন্ত নীতিগত বড় সিদ্ধান্ত যেন নেওয়া না হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন