Balurghat Child death

ঘুড়ি ছিঁড়ে দেওয়ায় শিশুকে খুন! বালুরঘাটে দেহ উদ্ধারের পর আগুন অভিযুক্তের বাড়িতে

পুলিশ সূত্রে খবর, জেরায় খুনের কথা স্বীকার করেছেন মানস। তদন্তকারীদের জানিয়েছেন, ঘুড়ি নিয়ে ঝামেলার জেরেই দীপ হালদার নামে ওই শিশুকে খুন করেছেন তিনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বালুরঘাট শেষ আপডেট: ০৬ নভেম্বর ২০২২ ২২:২৪
Share:

রণক্ষেত্র বালুরঘাট।

ঘুড়ি কিনে দেওয়ার নাম করে শিশুটিকে সঙ্গে করে নিয়ে গিয়েছিলেন প্রতিবেশী যুবক। তার পর আর বাড়ি ফেরেনি শিশুটি। থানায় নিখোঁজ-ডায়েরি করেছিল পরিবার। তা সত্ত্বেও শিশুর হদিস মেলেনি। দেড় দিন ধরে নিখোঁজ থাকার পর বাড়ির অদূরে একটি খাল থেকে তার বস্তাবন্দি দেহ উদ্ধার হল। রবিবার সন্ধ্যায় আট বছরের ওই শিশুর দেহ উদ্ধারের পর উত্তেজনা ছড়াল দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই শিশু খুনে অভিযুক্ত প্রতিবেশী যুবক মানস সিংহকে গ্রেফতার করেছে বালুরঘাট থানার পুলিশ। ওই যুবকের বাবা, মা ও বোনকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, জেরায় খুনের কথা স্বীকার করেছেন মানস। তদন্তকারীদের জানিয়েছেন, ঘুড়ি নিয়ে ঝামেলার জেরেই দীপ হালদার নামে ওই শিশুকে খুন করেছেন তিনি। এ দিকে, অপহরণ করে খুনের অভিযোগ তুলে মানসের বাড়িতে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছেন পড়শিরা।

Advertisement

মৃত শিশুর পরিবার এবং স্থানীয় সূত্রে খবর, শনিবার বিকেলে ঘুড়ি কিনে দেওয়ার নাম করে দীপকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়েছিলেন মানস। ঘুড়ি কিনে মাঠে গিয়ে দু’জনে ঘুড়িও ওড়ায়। কিন্তু তার পর বাড়ি ফেরেনি দীপ। সন্ধ্যা পেরিয়ে রাত গড়িয়ে গেলে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। হদিস না মেলায় রবিবার সকালে থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। শিশুর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতারও করা হয় মানস ও তাঁর পরিবারকে। তার পরেই সন্ধ্যায় বাড়ির পাশের একটি পুকুর থেকে দীপের বস্তাবন্দি দেহ উদ্ধার হয়। এই ঘটনার পরেই এলাকার মানুষ ক্ষিপ্ত হয়ে মানসের বাড়িতে আগুন জ্বালিয়ে দেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এলাকায় র‌্যাফ নামানো হয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। মৃত শিশুর ঠাকুমা দীপ্তি মোহন্ত বলেন, ‘‘মানস ঘুড়ি কিনে দেওয়ার নাম করে দীপকে ডেকে নিয়ে গিয়েছিল। তার পর থেকে দীপর আর কোনও খোঁজ মেলেনি।’’

দীপের দেহ উদ্ধারের পর পুলিশ জানিয়েছে, মানস খুনের দায় স্বীকার করেছেন। জেরায় তদন্তকারীদের জানান, ঘুড়ি ওড়ানোর সময় একটি ঘুড়িতে পা দিয়ে দিয়েছিল দীপ। তা নিয়ে দু’জনের মধ্যে ঝামেলা হয়। তার পরেই তিনি দীপকে খুন করে তার দেহ পুকুরে ফেলে দেন। দক্ষিণ দিনাজপুরের পুলিশ সুপার রাহুল দে বলেন, ‘‘রবিবার সকালে আমাদের কাছে একটি নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। আমরা সেই মতো পদক্ষেপ করি। সন্ধ্যায় ওই শিশুর দেহ উদ্ধার হয়েছে। অভিযুক্ত প্রতিবেশী যুবক ও তাঁর পরিবারের তিন জনকে আমরা গ্রেফতার করেছি। জেরায় ধৃত যুবক খুনের কথা স্বীকার করেছেন। উনি জানিয়েছেন, বাচ্চাটা ঘুড়িতে পা দেওয়ায় তা নিয়ে ওদের মধ্যে ঝামেলা এবং তা থেকে খুন। শিশুর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সোমবার তার রিপোর্ট আসবে।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন