দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট শহরে বেসরকারি রোগনির্ণয় কেন্দ্রে ডাকাতির ঘটনার তদন্তভার নিল সিআইডি। বৃহস্পতিবার বালুরঘাট থানার পুলিশের তরফে ওই ঘটনার তদন্তভার সিআইডির হাতে তুলে দেওয়া হয়।
রানাঘাটের মিশনারি স্কুলে ঢুকে ডাকাতি ও বৃদ্ধ সন্ন্যাসিনীকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তরাই গত ৮ মার্চ রাতে বালুরঘাটের ওই রোগনির্ণয় কেন্দ্রে হানা দিয়ে নৈশপ্রহরীদের বেঁধে রেখে লুঠপাট চালিয়েছিল বলে তথ্য প্রমাণ পাওয়াতেই সিআইডির তরফে তদন্তের দায়িত্ব নেওয়া হয়েছে বলে বালুরঘাট থানার আইসি বিপুল বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘ওই কেন্দ্রের সিসিটিভি ফুটেজে কয়েকজন দুষ্কৃতীর ছবি ধরা পড়লেও তাদের শনাক্ত করা যায়নি। এরপর রানাঘাট কান্ডে অভিযুক্তদের একজনকে হাবরা থেকে গ্রেফতারের পরই বালুরঘাটের ডাকাতিতেও দলটি জড়িত বলে সিআইডি জানতে পারে। আমরা ওই সিসিটিভির ফুটেজ কলকাতায় পাঠিয়েছিলাম।’’ পুলিশ সূত্রের খবর, আগামী এক দুদিনের মধ্যে সিআইডির একটি দল বালুরঘাটে তদন্তে আসবে।
রানাঘাট কান্ডে মুম্বই থেকে ধৃত মহম্মদ সেলিম এবং হাবরা থেকে ধৃত গোপাল সরকারকে জেরা করে সিআইডি জেনেছে, বালুরঘাটে পুরসভা ও বেসরকারি সংস্থার যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত মাতৃসদনের নিচে ওই কেন্দ্রটিতে ডাকাতির ঘটনায় বাংলাদেশি দুষ্কৃতীরা জড়িত। অভিযোগ, দলটি দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলি সীমান্ত দিয়ে বালুরঘাটে ঢুকে স্থানীয় দুষ্কৃতীদের সহায়তায় রোগনির্ণয় কেন্দ্রে ডাকাতি করে মালদহ হয়ে হাবরায় পৌঁছেছিল। তারপরেই রানাঘাট কান্ড ঘটিয়ে দুষ্কৃতীদের অধিকাংশ বাংলাদেশে পালিয়ে যায়। রানাঘাট কান্ডে ধৃত হাবরার গোপাল সরকারের মেশোমশাই মিলন সরকারই ওই অপরাধের মূলপান্ডা এবং বাংলাদেশের কুখ্যাত অপরাধী বলে ধৃতরা জেরায় জানিয়েছে।
জেলা পুলিশ সূত্রের খবর, রানাঘাট কান্ডে ধৃত অভিযুক্তদের জেরা করে বালুরঘাটের ডাকাতির সঙ্গে দলটি যুক্ত বলে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি এই জেলার উন্মুক্ত সীমান্ত টপকে ওপার থেকে বাংলাদেশি দুষ্কৃতীরা ঢুকে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় চুরি, ছিনতাই, খুন ও ডাকাতির মতো অপরাধ করে নির্বিঘ্নে ফের বাংলাদেশে পালিয়ে যাওয়ার তথ্য ধৃত দুষ্কৃতীদের জেরা করে উঠে আসার পর সীমান্তে বিএসএসএফ এবং স্থানীয় পুলিশের নজরদারি নিয়েও অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন।