চিকিৎসকদের একাংশের হাজিরা খাতায় সই করে হাসপাতালে না-থাকার ঘটনা বা অনুপস্থিত থাকলেও কাউকে দিয়ে ভুয়ো সই করানো হচ্ছে কি না তা খতিয়ে দেখতে কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
অনিয়ম নিয়ে কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিচ্ছেন না কেন সেই প্রশ্ন তুলে সোমবার প্রগ্রেসিভ ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন এবং ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ শাখার প্রতিনিধিরা অধ্যক্ষের কাছে যান। গত শুক্রবার উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের হাজিরা খাতায় সই থাকলেও চিকিৎসক তরুণ পাল হাসপাতালে ছিলেন না। ওই দিনই কোচবিহারে তাঁর নার্সিংহোমে আয়াদের সঙ্গে গোলমালে জড়িয়ে পড়েন। তাঁর নার্সিংহোমে ভাঙচুর হয়। পুলিশ তাঁকে থানায় নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। কোচবিহারে তিনি থাকলেও কী করে তাঁর হাজিয়া খাতায় সই হয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। অভিযুক্ত চিকিৎসক জানিয়েছিলেন, কে তাঁর হাজিরা খাতায় সই করেছে তিনি জানেন না। চিকিৎসককে শো-কজ করা হয়। কর্তৃপক্ষের মদতেই চিকিৎসকদের একাংশ অনিয়ম করছেন বলে অভিযোগ। অধ্যক্ষ সমীর ঘোষ রায় বলেন, ‘‘চিকিৎসক না থাকলে শো-কজ করা হবে। উত্তর সন্তোষজনক না হলে প্রয়োজন মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ প্রগ্রেসিভ ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের অন্যতম কর্মকর্তা মৃদুময় দাস জানান, চিকিৎসকদের একাংশের অনিয়ম দিনের পর দিন চলতে পারে না। তাই ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।