প্রতীকী ছবি।
ফেসবুকের দেওয়াল থেকে দেওয়ালে ঘুরছে একটি পোষ্ট। তাতে একটি ছোট গাড়ির জানলার কাঁচ ভাঙার ছবি। একটি চুরির ঘটনা উল্লেখ করে দেওয়া রয়েছে একটি লিঙ্ক। লেখা রয়েছে এটা চোরের ফেসবুক লিঙ্ক। ক্লিক করে দেখুন চোরকে চিনতে পারেন কি না। যারা নিজের প্রোফাইল থেকে লিঙ্কটি ক্লিক করে চোরকে দেখতে যাচ্ছেন, চোরের নয় খুলে যাচ্ছে তাদের প্রোফাইলটিই। কিছু লোক এতে মজা পেলেও অধিকাংশ ফেসবুক ব্যবহারকারী কিন্তু চিন্তায় পড়ে যাচ্ছেন। তাদের ফেসবুক লিঙ্ক চোরের মোবাইলে কী ভাবে যেতে পারে? ঘটনাটি তাই মোটেই ছেলেখেলা হিসেবে দেখছেন না আইনজীবীরা। বিষয়টি সাইবার ক্রাইমের আওতায় পড়ছে বলেই় মত তাঁদের।
আলিপুরদুয়ারের জেলা পুলিশ সুপার আভারু রবীন্দ্রনাথ জানান, কাউকে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ভয় পাইয়ে দেওয়া বা বিভ্রান্ত করা সাইবার ক্রাইমের আওতায় পড়ছে। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আলিপুরদুয়ার আদালতের সরকারি আইনজীবী জহর মজুমদার জানান, এমনিতে ফেসবুকে নানা ধরনের মিথ্যে পোষ্ট ছড়িয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি চলছে। চোরের লিঙ্কের নাম করে এমন একটি লিঙ্ক দেওয়া হয়েছে, যে খুলতে যাবে তার প্রোফাইল শো করবে। বিষয়টি আইটি আইনে অপরাধ। আইটি অ্যাক্টের ৬৭ ধারায় মামলা করা যায়।
ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া পোস্ট শেয়ার করেছেন বহরমপুরের যুবক। তাতে বাংলায় লেখা রয়েছে, গত রাতে কেউ একজন আমার দাদার গাড়ির জানলার কাচ ভেঙে মানিব্যাগ সহ বিভিন্ন জিনিস নিয়ে গিয়েছে। সেখানে চোর তার মোবাইল ফেলে গিয়েছে। চোরের মোবাইল থেকে তাঁর ফেসবুক লিঙ্ক দেওয়া হল। তাতে ক্লিক করে দেখুন চোরকে চিন্তে পারেন কিনা। ওই যুবকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, কলকাতার এক তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীর প্রোফাইলে বিষয়টি দেখতে পান সেখান থেকে শেয়ার করেন। তথ্যপ্রযুক্তি সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তির প্রোফাইল থেকে প্রায় সাড়ে ছশো জন বিষয়টি শেয়ার করেন। ওই তথ্য প্রযুক্তি কর্মী জানান, বিষয়টি মজার জেনেই তা শেয়ার করেন। তা যে এত দূর যাবে তাঁর জানা ছিল না।