২৫ নম্বর ওয়ার্ডের অনুষ্ঠানে মেয়র ও কংগ্রেস নেতারা। —নিজস্ব চিত্র
রাজ্যের কাছে পুরসভার প্রাপ্য বকেয়া আদায়ে শিলিগুড়ির মেয়র সাহায্য চাইলে তাঁরা সহায়তা করবেন বলে জানালেন রাজ্যসভার সাংসদ তথা প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য। রবিবার শিলিগুড়ির ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে তাঁর সাংসদ তহবিল থেকে শবদেহ বহনের একটি গাড়ি তুলে দেওয়ার অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে এ কথা জানান প্রদীপবাবু।
এ দিন অনুষ্ঠান মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন মেয়র অশোক ভট্টাচার্য, কংগ্রেসের জেলা সভাপতি শঙ্কর মালাকার, ৩ নম্বর বরো কমিটির চেয়ারম্যান সুজয় ঘটক। সেখানে অশোকবাবু রাজ্যের কাছে শিলিগুড়ি পুরসভার প্রাপ্য ১৮৬ কোটি টাকা পড়ে রয়েছে বলে জানান। পরে প্রদীপবাবু বলেন, ‘‘কেন্দ্রের কাছে রাজ্য যেমন তার প্রাপ্য চাইছে, তেমনই রাজ্যের কাছে শিলিগুড়ি পুরসভার ১৮৬ কোটি টাকা পাওনা রয়েছে। সেটা তাদের প্রাপ্য। রাজ্য তাদের অর্থ যোজনার নিয়ম মানছেন না। এটা হতে পারে না। অশোকবাবু সাহায্য চাইলে ওই প্রাপ্য টাকা আদায়ের জন্য সহায়তা করব।’’
দলের কাউন্সিলর সীমা সাহার প্রস্তাবে প্রদীপবাবু সাংসদ তহবিলের টাকা থেকে একটি মৃতদেহ বহনের গাড়ি শিলিগুড়ি পুরসভার হাতে এ দিন তুলে দেন। গাড়িটির দেখভালের দায়িত্ব এলাকার একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার হাতে আনুষ্ঠানিক ভাবে তুলে দেওয়া হয়। তা ছাড়া, সাড়ে চার লক্ষ টাকা তিনি বরাদ্দ করেছেন সীমাদেবীর ওয়ার্ডে একটি রাস্তা সংস্কারের জন্যও। সব মিলিয়ে সাংসদ তহবিল থেকে প্রদীপবাবু ১০ লক্ষ টাকা দিয়েছেন।
শহরে দেহ বহনের গাড়ি সরবরাহের পরিষেবা কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার পক্ষে দেওয়া হয়। কিন্তু তাদের গাড়ি পুরনো ও খারাপ হয়ে থাকায় মাঝে মধ্যে পরিষেবা পেতে সমস্যা হয়। সে ক্ষেত্রে এই নতুন গাড়ি বাসিন্দাদের কাজে আসবে বলে মনে করছেন অনেকেই।
মেয়র অশোক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘রাজ্যের কাছে পুরসভার প্রাপ্য টাকা আদায়ে প্রদীপবাবুরা পাশে থাকবেন বলে জানিয়েছেন। কেন্দ্রের কাছে রাজ্য যেমন তাদের প্রাপ্য টাকা দাবি করছে। সেটা যেমন তাদের পাওয়া উচিত। ঠিক তেমনই শিলিগুড়ি পুরসভার প্রাপ্য টাকা রাজ্যের দেওয়া উচিত।’’ মেয়র জানান, প্রদীপবাবুর সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। মৃতদেহ কয়েকদিন সংরক্ষণের ব্যবস্থা করার জন্য একটি প্রকল্পের প্রস্তাব তিনি দিতে বলেছেন। সেই মতো কাজ করা হবে।