কোচবিহারে কংগ্রেসের প্রচারে র্যালি।
অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগে শেষ হল কোচবিহারে লোকসভা উপনির্বাচনের প্রচার। শেষদিনে কেউ ভোটারদের ভয় দেখানোর অভিযোগ তুললেন। কেউ সাবেক ছিটমহলে গিয়ে নতুন ভোটারদের মন কাড়ার চেষ্টা করলেন। কেউ আবার দিনভর সভার পর সভা করলেন।
বিকেল সাড়ে ৪ টা নাগাদ কোচবিহার জেলা পার্টি অফিসে সাংবাদিক বৈঠক করে বিজেপির জেলা পর্যবেক্ষক রথীন বসু বলেন, “দিনহাটা সহ বেশ কয়েক জায়গায় ভোটারদের ভয় দেখাচ্ছে রাজ্যের শাসক দল। নির্বাচনী এজেন্টদের দলীয় অফিসে ডেকে নিয়ে গিয়ে ধমকানো হচ্ছে। বিষয়টি আমরা নির্বাচনী কমিশনে জানিয়েছি।” তিনি আরও দাবি করেন, বামেদের একটি বড় অংশের ভোট তাদের ঝুলিতে পড়বে। ওই দাবিকে অবশ্য নস্যাৎ করে দিয়েছে বামেরা। বিজেপির দাবি উড়িয়ে দিয়েছে রাজ্যের শাসক দলও।
তৃণমূলের প্রচারে প্রার্থী পার্থপ্রতিম রায়। — নিজস্ব চিত্র
বামফ্রন্ট প্রার্থী নৃপেন রায় বলেন, “বিজেপি বুঝতে পারছে তাদের কী অবস্থা। মানুষকে তাঁরা পাশে পাবেন না। তাই তারকাদের নিয়ে আসতে হচ্ছে। ভিত্তিহীন কিছু দাবি করে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। তা ভোটেই প্রমাণ হয়ে যাবে।” তিনিও রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলেছেন। তাঁর দাবি, বামেদের নিচুতলার কর্মী-সমর্থকদের ভয় দেখাচ্ছে তৃণমূল। রাজ্যের শাসক দলের প্রার্থী পার্থপ্রতিম রায় বিরোধীদের দাবি উড়িয়ে দেন। তিনি বলেন, “মানুষ আমাদের সঙ্গে আছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের সঙ্গে সকলে আছে। প্রচারে নেমে তা বুঝতে পেরেছে বাম ও বিজেপি। তাই শেষ সময়ে কিছু ভিত্তিহীন অভিযোগ করছে।”
এ দিন সকালে পার্থবাবু সাবেক ছিটমহল পোয়াতুর কুঠি, মশালডাঙায় যান। সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেন। চারটি পথসভাও করেন। পরে কোচবিহার শহরে মিছিলে অংশ নেওয়ার পাশাপাশি পুন্ডিবাড়িতেও প্রচার করেন। কোচবিহার শহরে টোটো, ছোটগাড়ি নিয়ে রোড শো করেন বিজেপি প্রার্থী হেমচন্দ্র বর্মন। বাম প্রার্থী নৃপেনবাবু সভা করেন মাথাভাঙার শীতলখুচি, বড়মরিচা, ডাকঘরা এবং তুফানগঞ্জের দেওচড়াইয়ে। বুধবার প্রচার সেরে বাড়ি ফেরার পথে ঘোকসাডাঙ্গার কাছে বাইক দুর্ঘটনায় জখম হন কামতাপুর পিপলস পার্টির প্রার্থী কংসরাজ বর্মন। ফলে এ দিন তিনি প্রচার করতে পারেননি।