জলপাইগুড়ি টাউন ক্লাব মাঠে জলপাইগুড়ি ও কোচবিহারের সেমিফাইনাল খেলায় বল দখলের লড়াই। — সন্দীপ পাল
একটি দল ময়নাগুড়িতে খেলছে। অন্য একটি দল নিয়ে খেলতে এসে শোচনীয় ভাবে হেরে গেল কোচবিহার পুরসভা। শুক্রবার জলপাইগুড়ির টাউন ক্লাবের মাঠে আরএসএ আয়োজিত ফুটবল প্রতিযোগিতার সেমিফাইনালে জলপাইগুড়ির বন্ধু সমিতি ক্লাব ও পাঠাগার ৪-১ গোলে হারাল কোচবিহার পুরসভার দলকে।
বন্ধু সমিতি প্রথমার্ধে তিনটি এবং দ্বিতীয়ার্ধে একটি গোল দেয়। কোচবিহার পুরসভা দ্বিতীয়ার্ধে একটি গোল শোধ দেয়। বন্ধু সমিতির দলের পক্ষে মিলন দাস, রাজীব এক্কা, বিট্টু ছেত্রী এবং ভিকি কামারুন গোল দেন। কোচবিহার পুরসভার পক্ষে হেমন হাজোয়ারি একটি গোল শোধ করেন। ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হন বন্ধু সমিতি’র বিদেশি ভিকি কামারুন।
কোচবিহারের দলটি একই সঙ্গে জলপাইগুড়ি ও ময়নাগুড়ির ফুটবল প্রতিযোগিতায় যোগ দিয়েছে। দু’টি জায়গাতেই তারা সেমিফাইনালে উঠেছে। শুক্রবার দু’টি জায়গায় তাদের সেমিফাইনাল একই সঙ্গে পড়েছে। ফলে তাদের বিদেশি সমৃদ্ধ প্রধান দল যেটি জলপাইগুড়িতে খেলে গিয়েছে সেটিই এ দিন ময়নাগুড়িতে খেলছে। জলপাইগুড়ির ম্যাচের জন্য তারা অসমের গোসাইগাঁওএর জারাগুড়ি ফুটবল অ্যাকাডেমির দলটিকে নিয়ে আসে। সেই দলটিই এ দিন বন্ধু সমিতির সঙ্গে খেলে।
কোচবিহার পুরসভার কোচ দীপক পাল বলেন, “একই সঙ্গে দু’টি জায়গায় সেমিফাইনালে ওঠার জন্য আমরা সমস্যায় পড়ে যাই। কোনও কমিটিই তারিখ পাল্টাতে চায়নি।’’ বাধ্য হয়ে এই দলটিকে নিয়ে আসতে হয়েছে বলে জানান তিনি।
নতুন দলটির সকলেই অল্প বয়সী। তাঁরা কলকাতার খেলোয়াড় সমৃদ্ধ বন্ধু সমিতি’র সঙ্গে পাল্লা দিতে পারেননি। এ দিকে কোচবিহার পুরসভার দল ময়নাগুড়ি গোল্ড কাপেও হারল। শুক্রবার জর্দাভ্যালি স্পোর্টিং ক্লাব আয়োজিত ময়নাগুড়ি গোল্ডকাপে শেষ সেমিফাইনালে কাঞ্চনজঙ্ঘা ফুটবল ক্লাবের কাছে ৬-০ গোলে হেরে গেল কোচবিহার পুরসভা।