Coronavirus

চিন্তায় আছেন চিকিৎসকেরাও

শহর থেকে সামান্য দূরত্বের মধ্যে থাকা রাজারহাট টিবি হাসপাতালকে কোভিড-হাসপাতালে উন্নীত করার দাবি তোলা হয়েছে।

Advertisement

নমিতেশ ঘোষ

কোচবিহার শেষ আপডেট: ৩০ মার্চ ২০২০ ০৫:২১
Share:

প্রতীকী ছবি

প্রয়োজনীয় মাস্ক নেই। নেই পিপিই গাউন। আলাদা করে কোনও ভেন্টিলেশনের ব্যবস্থাও নেই বলে অভিযোগ। তাই করোনা রোগী চিকিৎসার প্রয়োজন হলে ঠিক কী ভাবে তা হবে, তা নিয়ে ধোঁয়াশায় চিকিৎসক ও নার্সদের অনেকেই। কোচবিহার সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের অবস্থা ঠিক এমনই। এই অবস্থায় কোচবিহারে আলাদা করে কোভিড-হাসপাতাল তৈরির দাবিও করেছেন অনেকে।

Advertisement

শহর থেকে সামান্য দূরত্বের মধ্যে থাকা রাজারহাট টিবি হাসপাতালকে কোভিড-হাসপাতালে উন্নীত করার দাবি তোলা হয়েছে। কোচবিহার মেডিক্যালের সুপার রাজীব প্রসাদ অবশ্য বলেন, “আইসোলেশন ওয়ার্ড তৈরি করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।” তবে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই মেডিক্যাল কলেজের এক আধিকারিক সমস্যার কথা স্বীকার করে নিয়ে বলেন, “কিছু সমস্যা রয়েছে। সেগুলি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। আশা করি সমস্যা দ্রুত মিটে যাবে।”

কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের বয়স খুব বেশি নয়। তার মধ্যেই করোনাভাইরাসের মতো রোগের চিকিৎসা পরিকাঠামো প্রয়োজন হওয়ায় সমস্যা তৈরি হয়। কোচবিহার জেলায় অবশ্য এখনও কোনও করোনা রোগী ধরা পড়েনি। কিন্তু উত্তরবঙ্গে একজন এখন এই রোগে আক্রান্ত। তাই কোনও ঝুঁকি না নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে তৎপর স্বাস্থ্য দফতর। ইতিমধ্যেই মেডিক্যাল কলেজে ৮ শয্যার একটি আইসোলেশন ওয়ার্ড তৈরি করা হয়েছে। ৮০ শয্যার একটি কোয়রান্টিন সেন্টারও তৈরি করা হয়েছে শহরের কাছে চকচকায়। দিনহাটাতেও একটি ২৫ শয্যার কোয়রান্টিন সেন্টার তৈরি করা হয়েছে। বেশ কিছু চিকিৎসক, নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মীকে প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, এই পরিকাঠামো দিয়ে খুব একটা কিছু করা সম্ভব নয় বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা।

Advertisement

শুধু তাই নয়, চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্যও পরিকাঠামোর অভাব রয়েছে বহলেও অভিযোগ।

মেডিক্যাল কলেজ সূত্রেই জানা গিয়েছে, কোচবিহার সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে রয়েছে স্বাভাবিক সিসিইউ। সেখানে সব ধরনের রোগীদের ভর্তি করানো হয়। কেউ করোনা আক্রান্ত বলে সন্দেহ হলে তাঁকে কোথায় রাখা হবে, তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। মেডিক্যালের তরফে অবশ্য জানানো হয়েছে, আইসোলেশন ওয়ার্ডেই আলাদা করে ভেন্টিলেশনের ব্যবস্থা করা হবে। এর বাইরে সরঞ্জামের অভাব তো রয়েইছে। ইতিমধ্যেই ভিন্্রাজ্য থেকে হাজারে হাজারে মানুষ কোচবিহারে ফিরেছেন। অনেকে বিদেশ থেকেও ফিরেছেন। আরও যাঁরা বাইরে রয়েছেন, তাঁদের ফেরানোর ব্যবস্থাও শুরু করেছে সরকার। সেক্ষেত্রে দ্রুত কোচবিহারে পরিকাঠামো গড়ে তোলার কথা নিয়ে সরব হয়েছেন অনেকে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন