Coronavirus

বাগডোগরায় দূরত্ব থাকবে কী ভাবে, চিন্তা

বিমানবন্দর সূত্রের খবর, পুরনো টার্মিনালটির ঘণ্টায় ৭০০-৮০০ যাত্রী ধারণ ক্ষমতা রয়েছে। কিন্তু এখন উত্তর-পূর্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিমানবন্দর বাগডোগরায় রোজ ৩২ জোড়া বিমান ওঠানামা করে।

Advertisement

কৌশিক চৌধুরী

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০৮ মে ২০২০ ০৬:২২
Share:

ফাইল চিত্র।

লকডাউনের পরেও করোনা থেকে বাঁচতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা জরুরি, মনে করছে দেশের চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের বড় অংশ। দেশের বিমানবন্দরগুলিও সেই ভাবেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। রায়পুর থেকে হায়দরাবাদ, কলকাতা থেকে দিল্লি— সর্বত্রই টার্মিনাল ভবনের দরজা থেকেই এক মিটার করে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, সানিটাইজ়েশনের ব্যবস্থা, শরীরের তাপমাত্রার থার্মাল পরীক্ষা, একটি চেয়ারের পর একটি খালি রেখে পরের চেয়ারে বসার মার্কিং করা হচ্ছে। এই তালিকায় বাগডোগরাও আছে। কিন্তু সেখানে সব থেকে বড় প্রশ্ন, সামাজিক দূরত্বের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় জায়গা কি আছে বাগডোগরা বিমানবন্দরে? এমনিতেই ছোট টার্মিনাল, গা ঘেঁষাঘেঁষি করতে হয় ‘পিক আওয়ারে’। এ বার সামাজিক দূরত্বের নিয়ম মেনে কি করে জায়গা হবে যাত্রীদের চিন্তায় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

বিমানবন্দর সূত্রের খবর, পুরনো টার্মিনালটির ঘণ্টায় ৭০০-৮০০ যাত্রী ধারণ ক্ষমতা রয়েছে। কিন্তু এখন উত্তর-পূর্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিমানবন্দর বাগডোগরায় রোজ ৩২ জোড়া বিমান ওঠানামা করে। ‘পিক আওয়ারে’ বিমানবন্দরে অনেক সময়ই দুই-তিন হাজার যাত্রী থাকে। তখন বসা দূরে থাক, দাঁড়ানোর জায়গাও থাকে না। বোর্ডিং পাস বা সিকিউরিটি চেকের জন্য লম্বা লাইন পড়ে। লকডাউনের পরবর্তী ব্যবস্থা তৈরি করতে গিয়ে এখানেই চিন্তায় পড়েছেন অফিসারেরা।

এয়ারপোর্ট অথারিটি অব ইন্ডিয়ার (এএআই) কয়েক জন অফিসার জানান, অন্য সব বিমানবন্দরের মতোই বাগডোগরাতেও টার্মিনাল গেটে সিকিউরিটি চেক, ল্যাগেজ স্ক্যানিং, বোর্ডিং পাস সংগ্রহ, চূড়ান্ত সিকিউরিটি চেক করাতে হয়। তার পরে বাসে করে বিমান পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হয়। বাগডোগরায় ভেস্টিবিউল না থাকায় বাসই একমাত্র উপায়। প্রশ্ন হল, প্রতি ক্ষেত্রে দুই যাত্রীর মধ্যে যদি ১ মিটার বা ৩-৪ ফুটের দূরত্ব রাখতে হয়, তা হলে বাগডোগরায় দুপুরের ভিড় সামলানো সম্ভব হবে কী ভাবে?

Advertisement

বিমানবন্দরের এক প্রাক্তন অধিকর্তা বলেন, ‘‘প্রথমে করোনা সংক্রমণের ভয়ে বিমানে যাত্রী সব জায়গাতেই কম হবে। বিমান মন্ত্রক এবং এএআই চাইছে, বিমানে ওঠার আগে একজন যাত্রী যাতে পুরোপুরি নিরাপদ হন, তা সুনিশ্চিত করতে। এর জন্য প্রতিটি ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্বের বিষয়টি রং দিয়ে মার্ক করা হচ্ছে। বাগডোগরায় সমস্যা হলেও তা করতেই হবে।’’

বিমানবন্দর সূত্রের খবর, এর মধ্যে ঠিক রয়েছে, সামাজিক দূরত্বের জন্য গেট থেকে টার্মিনাল ভবনের সামনে লাইন মার্ক করে রাখা, লাগেজ এবং বোর্ডিং পাসের এলাকায় টানা নজরদারি এবং দোতলায় একাধিক সিকিউরিটি হোল্ড এলাকার ব্যবহার চালু থাকবে। এএআই এক কর্তা জানান, লকডাউনের পরে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হতেই বাগডোগরার বরাদ্দ প্রস্তাবিত ১০৪ একর জমি নিয়ে প্রশাসনের সঙ্গে ফের কথা হবে। বিমানবন্দের সম্প্রসারণ এবং আধুনিকীকরণের জন্য ওই জমি চিহ্নিত হয়ে রয়েছে। মার্চ-এপ্রিলে জমি হস্তান্তর শুরুর কথাও ছিল। করোনা সংক্রমণের জন্য এই নিয়ে প্রশাসনিক স্তরে কাজকর্ম ধীরে চলছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন