Coronavirus

মালদহে ফের হানা করোনার

মানিকচকের পরে রতুয়ায়।

Advertisement

জয়ন্ত সেন

মালদহ শেষ আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২০ ০৫:২১
Share:

প্রতীকী ছবি।

মালদহে দ্বিতীয় করোনা আক্রান্তের হদিস মিলল। মানিকচকের পরে রতুয়ায়।

Advertisement

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ১৩৮ জনের লালারসের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছিল। তাতে এক জন বৃদ্ধার রিপোর্ট ‘পজিটিভ’ আসে। আক্রান্তের বাড়ি রতুয়ার বাহারালে। ১০ দিন আগে তিনি মহারাষ্ট্র থেকে বাড়িতে ফিরেছিলেন। ২২ এপ্রিল থেকে তিনি সামসির রতুয়া পলিটেকনিক কলেজের সরকারি কোয়রান্টিনে ছিলেন। তাঁকে বুধবার দুপুরে শিলিগুড়ি কোভিড হাসপাতালে পাঠানো হয়।

মালদহ মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত মেডিক্যালে ৫৫৮টি লালারসের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। বুধবার ১৩৭টি নমুনা পরীক্ষা হয়।

Advertisement

সোমবার করোনা মানচিত্রে ঢুকেছিল মালদহ জেলা। মানিকচক কলেজের সরকারি কোয়রান্টিনে থাকা এক ব্যক্তির রিপোর্ট ‘পজিটিভ’ আসে। মঙ্গলবার রাতে জেলার আরও এক জনের দেহে হদিস মেলে ওই ভাইরাসের। প্রশাসনিক ও স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, আক্রান্ত ওই মহিলার বয়স ৬২ বছর। তাঁর বাড়ি রতুয়া ১ ব্লকের বাহারাল পঞ্চায়েতে। তবে তিনি ভিক্ষাবৃত্তি করতেন মহারাষ্ট্রের থানে এলাকায়। আক্রান্ত বৃদ্ধা মাসতিনেক আগে এলাকারই কয়েক জনের সঙ্গে পাড়ি দিয়েছিলেন থানেতে। তাঁদের সঙ্গী এক মহিলা ১৪ দিন আগে সেখানে মারা যান। যদিও মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি। ওই মহিলার মৃতদেহ নিয়ে অ্যাম্বুল্যান্সে মহারাষ্ট্র থেকে আক্রান্ত মহিলা-সহ আরও তিন জন ১৯ এপ্রিল রাতে রতুয়ায় আসেন। তাঁর সঙ্গে থাকা তিন জনের মধ্যে এক দম্পতি ও তাঁদের মেয়ে।

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, আক্রান্ত বৃদ্ধার বাড়িতে ছেলে ও পুত্রবধূ, এক নাতি ও তাঁর স্ত্রী এবং আরও দুই নাতি-নাতনি রয়েছে। আরও এক নাতনির বাড়ি পাশের একটি গ্রামে। ঠাকুমা বাড়ি ফিরে এসেছে জেনে দুই ছেলেমেয়েকে নিয়ে ওই নাতনিও এসে বৃদ্ধার সঙ্গে দেখা করেছিলেন।

জেলা স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তা বলেন, ‘‘ওই বৃদ্ধার সংস্পর্শে যাঁরা এসেছিলেন তাঁদের খোঁজ চলছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন