Coronavirus

রেশন লাইনে ভিড় উদ্বিগ্ন প্রশাসন

কোচবিহার শহর ঠিক থাকলেও গ্রামের দিকে রেশনের লাইনে উপচে পড়েছে ভিড়। লকডাউনে এমন ভিড় নিয়ে ক্ষুব্ধ বাসিন্দাদের অনেকেই।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ০৩ এপ্রিল ২০২০ ০৬:৩৭
Share:

বিপজ্জনক: সংক্রমণ এড়াতে সরকারি ভাবে দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশ সত্ত্বেও রেশনের লাইনে এই ছবি। বৃহস্পতিবার কোচবিহারের সাতমাইলে। নিজস্ব চিত্র

কোথাও গাদাগাদি করে দাঁড়িয়ে থাকলেন গ্রাহকরা, কোথাও আবার বৃত্ত পড়ে রইল নিজের মতো, গল্পে মজলেন গ্রাহকেরা। উত্তরবঙ্গে করোনার থাবা পড়ার পরেও যেন কারও হুঁশ নেই। হাট-বাজারগুলিতে তো প্রতিদিনই উপচে পড়ছে ভিড়। এ বারে রেশন দোকানেও দেখা গেল সেই একই ছবি।

Advertisement

কোচবিহার শহর ঠিক থাকলেও গ্রামের দিকে রেশনের লাইনে উপচে পড়েছে ভিড়। লকডাউনে এমন ভিড় নিয়ে ক্ষুব্ধ বাসিন্দাদের অনেকেই। যেখানে বারবার জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে, এই সময় স্বাস্থ্য দফতর ও প্রশাসনের নির্দেশ মেনেই সবাইকে চলাফেরা করতে হবে। তার মধ্যেও কেন এমন অবস্থা তা নিয়েও প্রশাসন উঠতে শুরু করেছে। কোচবিহারের জেলাশাসক পবন কাদিয়ান অবশ্য জানিয়েছেন, সমস্ত জায়গায় নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে রেশন বিলি এবং সবাইকে নির্দিষ্ট দূরত্ব মেনে দাঁড়ানোর জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, “অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।” কেউ যাতে অভুক্ত না থাকেন, সেই কারণে রেশন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য সরকার। বুধবার থেকে সেই রেশন বিলির কাজ শুরু করা হয়। কোচবিহার শহর থেকে গ্রামে সেই রেশন নিতে ভিড় উপচে পড়ে। ভিড় যে হবে সে আশঙ্কা করেছিলেন প্রশাসনিক আধিকারিকেরা। সেই কারণে সব জায়গায় আগাম একজন করে সিভিক ভলান্টিয়ারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। এ ছাড়া রেশন দোকানের সামনে নির্দিষ্ট দূরত্বে বৃত্ত তৈরি করা হয়। সেই বৃত্তে দাঁড়িয়েই রেশন নেওয়ার কথা ছিল গ্রাহকদের।

Advertisement

কিন্তু প্রকৃত চিত্র ছিল অন্যরকম। এ দিন সকালে সাতমাইলে একটি রেশন দোকানের সামনে ভিড় উপচে পড়ে। সেখানে একটি লাইন তৈরি করা হয়। কিন্তু সেখানে সকলে ভিড় করে দাঁড়িয়েছিলেন। খবর পৌঁছয় প্রশাসনের আধিকারিকদের কাছে। পরে তাঁরা গিয়ে সবাইকে নির্দিষ্ট দূরত্বে দাঁড়ানোর নির্দেশ দেন। শুধু সাতমাইল নয়, কোচবিহার উত্তর, দক্ষিণ এবং জেলার একাধিক জায়গায় রেশনের ভিড়ের চিত্রটা ছিল এমনই।

বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, লকডাউন হলেও করোনাভাইরাস সম্পর্ক গ্রামের বাসিন্দাদের একাংশ এখনও ওয়াকিবহাল নন। তাঁরা সে সব নিয়ম মানতে চাইছেন না।

ফার্মাস ক্লাব সাতমাইল সতীশের সম্পাদক অমল রায় বলেন, “এখনও অনেকে সচেতন নন। আমরা নিজেদের মতো প্রচার শুরু করেছি। আরও প্রচার চালাতে হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন