Coronavirus

দাগে নেই পা, শিকেয় নিষেধাজ্ঞা

বাসিন্দারা জানালেন, প্রতিদিনই রথবাড়ি থেকে শুরু করে মকদুমপুর বাজার, ঝলঝলিয়া বাজারে উপচে পড়ছে ভিড়। প্রশাসনের তরফে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে বাজারগুলিতে গণ্ডি করে দেওয়া হলেও কেউ মানছেন না।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০২০ ০৮:১৫
Share:

ভিড় করেই কেনাবেচা মালদহ নিয়ন্ত্রিত বাজার সমিতির পাইকারি আনাজ বাজারে। নিজস্ব চিত্র

লকডাউন চলছে। যদিও ইংরেজবাজার শহরে মালদহ জেলা নিয়ন্ত্রিত বাজার সমিতির পাইকারি আনাজ বাজারে তা বোঝা যাবে না। ভিড়, হইহট্টগোলে জমজমাট পুরো এলাকাই। অভিযোগ, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বালাই নেই। রাজ্য সরকার মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করলেও বাজারে বেশিরভাগের মুখেই মাস্ক থাকছে না। একাংশ বাসিন্দার দাবি, লকডাউনের বিধি ভেঙে দীর্ঘদিন ধরে এ অবস্থায় চললেও পুলিশ-প্রশাসন নিষ্ক্রিয়। আর স্থানীয় ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, তিন জন সিভিককর্মী মোতায়েন থাকলেও লাভ হচ্ছে না। ইংরেজবাজার থানার পুলিশকেও দেখা যাচ্ছে না। ভিড় নিয়ে আতঙ্কিত ব্যবসায়ীরা।

Advertisement

বাসিন্দারা জানালেন, প্রতিদিনই রথবাড়ি থেকে শুরু করে মকদুমপুর বাজার, ঝলঝলিয়া বাজারে উপচে পড়ছে ভিড়। প্রশাসনের তরফে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে বাজারগুলিতে গণ্ডি করে দেওয়া হলেও কেউ মানছেন না। এ সবের জন্য আঙুল উঠছে প্রশাসনের গাফিলতির দিকেই।

স্থানীয় সূত্রে খবর, বাজারের প্রস্তাবিত পার্কিং জোন এলাকায় বসা আনাজ বাজারে কিছু ফড়েরা গ্রাম থেকে আনাজ কিনে এনে বিক্রি করছেন। অভিযোগ, বাজারে স্থায়ী স্টল থাকলেও একাংশ ব্যবসায়ী ওই পার্কিং জোন এলাকায় গিয়ে আনাজ বিক্রি করছেন। বিক্রেতাদের পাশাপাশি এখানে হাজির হচ্ছেন মালদহ জেলার বিভিন্ন বাজার থেকে আসা খুচরো বিক্রেতারা। ভোর চারটে থেকে সকাল ১০ টা পর্যন্ত এই কেনাকাটা চললেও কোনও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা হচ্ছে না বলেই অভিযোগ। দিনের পর দিন এভাবে অসংযতভাবে কেনাকাটা চলায় করোনা আতঙ্ক গ্রাস করেছে ব্যবসায়ীদের।

Advertisement

ইংরেজবাজার রেগুলেটেড মার্কেট ফ্রুটস অ্যান্ড ভেজিটেবল কমিশন এজেন্টস ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক অশোক সাহা বলেন, ‘‘প্রশাসনের কাছে বিষয়টি জানিয়েছি। কিন্তু এখনও পদক্ষেপ করা হয়নি।’’ নিয়ন্ত্রিত বাজার সমিতির সম্পাদক অনুপম মৈত্রের কথায়, ‘‘সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার ব্যাপারে আমাদের সমিতির কর্মীরা বারবার সচেতন করছেন।’’

মালদহ সদর মহকুমাশাসক সুরেশচন্দ্র রানো বলেন, ‘‘পুলিশের সঙ্গে কথা বলে এ ব্যাপারে কাজ করা হবে।’’ ইংরেজবাজার থানার আইসি মদন মোহন রায় বলেন, "প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হচ্ছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement