unnatural death

বন্ধ ঘর থেকে উদ্ধার খেলনা ব্যবসায়ীর রক্তাক্ত দেহ, খুন করা হয়েছে, দাবি পরিবারের, তদন্তে পুলিশ

খেলনা ব্যবসায়ীর পরিবারের দাবি, তাঁকে খুন করা হয়েছে। তাঁদের বাড়িতে সম্প্রতি চুরির একটি ঘটনা ঘটে। তা নিয়েই নিয়মিত খেলনা ব্যবসায়ীকে খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছিল বলেও অভিযোগ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

মালদহ শেষ আপডেট: ২৪ নভেম্বর ২০২৩ ১৭:০১
Share:

— প্রতীকী ছবি।

খেলনা ব্যবসায়ীর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হল ঘর থেকে। ঘটনাটি ঘটেছে মালদহ থানার ছাতিয়ান মোড় এলাকায়। পরিবারের অভিযোগ, তাঁকে রাতের অন্ধকারে খুন করা হয়েছে। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে মালদা থানার পুলিশ পৌঁছে দেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

Advertisement

পুলিশ সুত্রে খবর, মৃতের নাম নেপাল মণ্ডল। বয়স ৪২ বছর। মেলায় ঘুরে ঘুরে খেলনা বিক্রি করতেন নেপাল। অবসর সময়ে তিনি টোটোও চালাতেন। স্ত্রী, সন্তান থাকলেও বাড়িতে একাই থাকতেন তিনি। পাশেই থাকতেন স্ত্রী। রাতে স্ত্রী ডাকাডাকি করলেও দরজা খোলেননি। স্ত্রী ভাবেন যে, স্বামী ঘুমিয়ে রয়েছেন। শুক্রবার সকালে ঘরের দরজা খোলা দেখতে পান স্ত্রী। ঘরের মধ্যে উঁকি মেরে স্ত্রী দেখেন মশারির ভিতর মুখে বালিশ চাপা দেওয়া অবস্থায় পড়ে রয়েছেন নেপাল। ছুটে ঘরে ঢুকে দেখেন, মৃত্যু হয়েছে স্বামীর। নাক মুখ দিয়ে রক্ত বার হয়েছে বলেও দাবি তাঁর। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে চলে আসে মালদহ থানার পুলিশ। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিক্যালে পাঠানো হয়েছে। খুন না অন্য কোনও কারণ, তা তদন্তের পর পরিষ্কার হবে।

মৃতের মেয়ে নন্দিতা মণ্ডল জানান, বেশ কিছু দিন আগে তাঁদের বাড়িতে একটি চুরির ঘটনা ঘটেছিল। কে চুরি করেছে তা একটি ছোট ছেলে নেপালকে জানিয়ে দেয়। নেপাল অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ করার কথা ভাবছিলেন। সেই কথা জানাজানি হতেই নেপালকে ফোনে খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। মেয়ের আরও দাবি, কিছু দিন আগে তাঁর বাবা একটি মেলা থেকে ফেরার সময়ও তাঁকে মারধর করা হয়েছিল। নন্দিতার দাবি, সেই রাগ থেকেই বালিশ চাপা দিয়ে তাঁর বাবাকে খুন করা হয়েছে।

Advertisement

ঘটনার তদন্তে নেমেছে মালদহ থানার পুলিশ। দেহের ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর কারণ পরিষ্কার হবে। তার পরেই খুন না অন্য কোনও কারণ, তা স্পষ্ট হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন