একের পর এক অভিযোগ উঠতে থাকায় পার্কিং নিয়ে পদক্ষেপ করল শিলিগুড়ি পুরসভা।
শহরের বিভিন্ন এলাকায় পার্কিং এর বরাত পাওয়া সংস্থাগুলিকে নিয়ে বৃহস্পতিবার পুরসভায় বৈঠক হয়। সিদ্ধান্ত হয়েছে, যে কর্মীরা পার্কিং ফি আদায় করবেন তাঁদের ইউনিফর্ম পরতে হবে। সকলের কাছে পরিচয়পত্র থাকাটাও বাধ্যতামূলক করল পুরসভা। জানা গিয়েছে, বিষয়টি নিয়ে চলতি মাসেই পুলিশ-প্রশাসন সহ সংশ্লিষ্ট সব দফতরকে নিয়ে বৈঠকে বসবে পুরসভা। পার্কিং জোনগুলির পরিস্থিতি দেখতে ডেপুটি মেয়রের নেতৃত্বে অভিযানও হবে। মেয়র অশোক ভট্টাচার্য ও পার্কিং এর দায়িত্বপ্রাপ্ত মেয়র পরিষদের সদস্য কমল অগ্রবাল এ দিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
বেশি টাকার রসিদ ছাপিয়ে পার্কিং এর নামে তোলা আদায় ও ভুয়ো রসিদ ছাপিয়ে পার্কিং ফি আদায়ের মতো অভিযোগ একাধিকবার উঠেছে শিলিগুড়িতে। ডিসেম্বর মাসের বোর্ড মিটিঙে পার্কিং নিয়ে বিজেপি কাউন্সিলর খুশবু মিত্তলের তোলা অভিযোগকে কেন্দ্র করে হইচই শুরু হয়। সভা চলাকালীন মোবাইল বের করে পার্কিং ফি-র একটি রসিদের ছবি চেয়ারম্যানকে দেখান তিনি। চার চাকা গাড়ির ক্ষেত্রে ঘণ্টায় দশ টাকা নেওয়ার কথা থাকলেও ২০ টাকা ফি ছাপানো রসিদের ছবি দেখান বিজেপি কাউন্সিলর। দ্রুত বৈঠক হবে বলে মেয়র আশ্বাস দেন। এ দিন ছিল সেই বৈঠক।
অশোকবাবু বলেন, ‘‘বেশ কিছু অভিযোগ এসেছিল। বৈঠকে সকলকে সর্তক করে দেওয়া হয়েছে। নানা সমস্যার কথাও উঠে এসেছে। পুলিশ প্রশাসনকে নিয়েও দ্রুত বৈঠক করা হবে।’’ পার্কিং এজেন্সিগুলিও নানা অভিযোগ করেছেন মেয়রকে। কয়েকটি এজেন্সির অভিযোগ, পার্কিংয়ের জায়গায় খোঁড়াখুঁড়ি চলায় সমস্যা হচ্ছে।
পুরসভায় পার্কিং বিভাগের দায়িত্ব ছিল প্রাক্তন ফরওয়ার্ড ব্লক কাউন্সিলর দুর্গা সিংহের ওপর। তিনি দল বদলে তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় কিছুদিন মেয়র নিজের হাতে দফতর রেখে দেন। গত মাসে দফতরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মেয়র পরিষদ সদস্য কমলবাবুকে। এ দিন কমলবাবু বলেন, ‘‘অভিযোগের ভিত্তিতে কয়েকটি এজেন্সিকে শো-কজ করা হয়েছে। কোনও অনিয়ম পুরসভা বরদাস্ত করবে না।’’
বিরোধীরা অবশ্য এ দিনের বৈঠক নিয়ে খুব একটা আশাবাদী নন। বিজেপির কাউন্সিলর খুশবু মিত্তল বলেন, ‘‘নানা পদক্ষেপের কথা শোনা যায়। কাজের কাজ কিছু হয় না। এ দিনের বৈঠকে আদৌও কোনও কাজ হল কি না তা সময়ই বলবে।’’