ভিড়: শিলিগুড়ির অগ্রণী সঙ্ঘের মণ্ডপে দর্শনার্থীদের ভিড়। নিজস্ব চিত্র
পঞ্চমীতে প্রায় ভোর ৩টে অবধি শিলিগুড়ির মণ্ডপে দেখা মিলেছে দর্শনার্থীদের। আর মহাষষ্ঠীর সন্ধ্যাতেই জনস্রোত নামল নানা মণ্ডপে। উত্তর থেকে দক্ষিণ, অনেক বিগ বাজেটের পুজো। সেখানে মণ্ডপে ঢুকতে লম্বা লাইন পড়েছে। যত রাত গড়িয়েছে ভিড়ও বেড়েছে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ভোর অবধি শহরের চারদিকে মোটরবাইক নিয়ে চরকি পাক দিচ্ছেন পুলিশকর্মীরা। সিভিক ভলান্টিয়ারদের নিয়োগ করা হয়েছে সব মণ্ডপেই। সিসিটিভি ক্যামেরায় নজর রাখা হচ্ছে বাছাই মণ্ডপে।
শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেট এলাকায় এ বার কমবেশি ছোটবড় মিলিয়ে ৪০০ উপর পুজো হচ্ছে। বিগ বাজেটের পুজো ৩০টি। উত্তর থেকে দক্ষিণ, আশ্রমপাড়া থেকে এনজেপি বা চম্পাসারি-যেখানে চোখ গিয়েছে, ভিড় দেখা গিয়েছে। এ দিন বিকেল থেকে পরিস্থিতি দেখে যান নিয়ন্ত্রণ শুরু করে দেয় শিলিগুড়ি ট্রাফিক পুলিশ। নামানো হয়েছে সিভিক ভলান্টিয়র এবং এনসিসিকেও। এ দিনও দিনভর শহরের বিভিন্ন পুজো মণ্ডপের উদ্বোধন করেছেন পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব।
দেশবন্ধুপাড়া, মিলনপল্লির বাসিন্দা, কলেজ পড়ুয়া স্মিতা বসু, কোয়েলি দেব, জিনিয়া সাহা, বিকাশ মালাকারেরা জানান, এ বার চতুর্থী থেকেই পুজো পুরোদমে শুরু। প্রতিদিন সন্ধ্যা হতেই দাদাভাই মাঠে যাচ্ছেন তাঁরা। রাত অবধি আড্ডা খাওয়া চলছে। সঙ্গে নিজস্বী। ষষ্ঠীতেই ভিড় মনে হচ্ছে, পুজোর এবার সাতদিনের। খুব আনন্দ হচ্ছে।
এ দিন রাতে হিলকার্ট রোড, স্টেশন ফিডার রোড, বর্ধমান রোড, আশ্রমপাড়া, বাবুপাড়া মেইন রোড, গেটবাজারের মত বহু এলাকায় গজিয়ে উঠেছে অস্থায়ী রেস্তরাঁ। বিরিয়ানি থেকে ফাস্ট ফুড দেদার বিকিয়েছে স্টলগুলোতে। পঞ্চমী থেকে গভীর রাত অবধি রাস্তায় ভিড় থাকায় সর্তক পুলিশও। বড় পুজো মণ্ডপগুলোতে যেমন সিসিটিভি ক্যামেরা দিয়ে নজরদারি চলছে। তেমনই, সুব্রত সঙ্ঘ, দাদাভাই, সেন্ট্রাল কলোনির মত পুজো মণ্ডপগুলোর পাশে থাকা মেলায় সাদা পোশাকের পুলিশ কর্মীদের মোতায়েন করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, বিভিন্ন বড় পুজো মণ্ডপের নজরদারিতে জোন ভিত্তিক পুলিশ কর্মীদের মোতায়েন করা হয়েছে। সেখানে একজন এসিপি, ইন্সপেক্টর স্তরের অফিসারদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তেমনিই, ট্রাফিক, সাদা পোশাক এবং থানার ফোর্সকে আলাদা আলাদা করে ডিউটিতে রাখা হয়েছে। কোথাও কোনও গোলমাল, সমস্যা চোখে পড়া সংশ্লিষ্ট থানায় তা দ্রুত জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে।