Freedom Fighter

Freedom fighter: আবাস জোটেনি সংগ্রামীর পরিবারের, কাটমানি নালিশ

হরিশ্চন্দ্রপুরের প্রয়াত স্বাধীনতা সংগ্রামী সুবোধকুমার মিশ্রের নেতৃত্বে আইন অমান্য, ভারত ছাড়ো, সত্যাগ্রহ আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন বিরসা।

Advertisement

বাপি মজুমদার 

শেষ আপডেট: ১৫ অগস্ট ২০২১ ০৭:২৯
Share:

বঞ্চিত: প্রয়াত স্বাধীনতা সংগ্রামীর পরিবার। নিজস্ব চিত্র

এলাকায় তিনি পরিচিত ছিলেন বীর নামে। আসল নাম বিরসা ওরাওঁ। হরিশ্চন্দ্রপুরের প্রয়াত স্বাধীনতা সংগ্রামী বিরসা আইন অমান্য করে জেলেও গিয়েছিলেন। স্বাধীনতার আগে অবিভক্ত বাংলায় বঙ্গীয় আইন পরিষদের বিধায়কও হয়েছিলেন। কিন্তু লড়াকু নেতা বীরের উত্তরসূরীদের দিন কাটছে চরম অনটনে। দাবি মতো কাটমানি না দেওয়ায় আবাস যোজনায় ঘরও জোটেনি বলে অভিযোগ তুলেছেন বীরের এক আত্মীয়া। স্বাধীনতা দিবসের প্রাক মুহূর্তে এক স্বাধীনতা সংগ্রামীর পরিবার এমন অভিযোগ তোলায় বিষয়টিকে ঘিরে তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে চাপানউতোর
শুরু হয়েছে।

Advertisement

হরিশ্চন্দ্রপুর-১ ব্লকের বিডিও অনির্বাণ বসু বলেন, "অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ছাড়া পরিবারটি যাতে সরকারি সুবিধে পায় তাও দেখা হচ্ছে।"

হরিশ্চন্দ্রপুরের প্রয়াত স্বাধীনতা সংগ্রামী সুবোধকুমার মিশ্রের নেতৃত্বে আইন অমান্য, ভারত ছাড়ো, সত্যাগ্রহ আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন বিরসা। স্বাধীনতা আন্দোলনে লড়াকু বিরসাকে বীর উপাধি দেন আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ। ভারত সরকার তাম্রফলক দিয়ে সম্মানিতও করে।

Advertisement

বীরের স্ত্রী, ছেলেও মারা গিয়েছেন। বেত, টালির ভাঙাচোরা ঘর। রয়েছেন ভাইপো, নাত বউ ও তার সন্তানেরা। ভাইপো রামধনি ওরাওঁ, তাঁর স্ত্রী সুমিয়া ওরাওঁ বলেন, "বাড়ি মিলবে বলে স্থানীয় সদস্য ফুলকুমার হরিজন ১০ হাজার টাকা চেয়েছিল। কোনও রকমে পাঁচ হাজার টাকা দিই। কিন্তু বছর ঘুরলেও ঘর মেলেনি।"

জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক জম্বু রহমান বলেন, "ফুলকুমার বিজেপির সদস্য। ও তৃণমূলের কেউ নয়। আমরা কাটমানির বিরুদ্ধে।"

বিজেপির মণ্ডল সভাপতি রূপেশ আগরওয়াল বলেন, "বিধানসভা নির্বাচনের পরেই ফুলকুমার তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। ও বিজেপির কেউ নয়।"

নিজেকে তৃণমূল দাবি করে ফুলকুমার হরিজন বলেন, "আমি কোনও টাকা নিইনি। এ নিয়ে কিছু বলতেও পারব না।"

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement