Coronavirus

সরকারি কোয়রান্টিন চালু নিয়ে তরজা দুই দলে

ভিন্ রাজ্য থেকে ফেরা পরিযায়ী শ্রমিকদের লালারস পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়ার আগেই হোম কোয়রান্টিনে পাঠানো নিয়ে মালদহ জেলায় প্রশাসনের বিরুদ্ধে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ মে ২০২০ ০২:১৮
Share:

প্রতীকী ছবি

গ্রাম পঞ্চায়েতের পরিচালনায় পরিযায়ী শ্রমিকদের রাখতে সরকারি কোয়রান্টিন চালু নিয়ে মালদহে তৃণমূল-বিজেপি তরজা তুঙ্গে উঠেছে। মানিকচক ব্লকের মথুরাপুরে বিজেপি পরিচালিত পঞ্চায়েত ভিন্ রাজ্য থেকে ফেরা শ্রমিকদের রাখতে সরকারি কোয়রান্টিন চালু না করার অভিযোগে রবিবার পঞ্চায়েত দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখায় যুব তৃণমূল। মথুরাপুর বাসস্ট্যান্ডে অবস্থান বিক্ষোভও করে তারা। তৃণমূলের অভিযোগ, শুধু মথুরাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতই নয়, জেলায় বিজেপি পরিচালিত সমস্ত পঞ্চায়েত সরকারি নির্দেশ সত্ত্বেও পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য সরকারি কোয়রান্টিন চালু করছে না। ফলে ওই শ্রমিকেরা বাড়িতে থাকতে বাধ্য হচ্ছেন। এতে সংক্রমণের আশঙ্কা বাড়ছে। বিজেপির পাল্টা অভিযোগ, বিষয়টি নিয়ে তৃণমূল রাজনীতি করছে। সরকারি কোয়রান্টিন চালুর ক্ষেত্রে বিজেপি পরিচালিত পঞ্চায়েতগুলিকে প্রশাসনের তরফে অসহযোগিতা করা হচ্ছে।

Advertisement

ভিন্ রাজ্য থেকে ফেরা পরিযায়ী শ্রমিকদের লালারস পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়ার আগেই হোম কোয়রান্টিনে পাঠানো নিয়ে মালদহ জেলায় প্রশাসনের বিরুদ্ধে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। শেষে জেলা প্রশাসনের তরফে সম্প্রতি নির্দেশিকা জারি করা হয়, ব্যাঙ্কে গচ্ছিত বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প খাতে প্রাপ্ত অর্থের সুদের টাকা থেকে গ্রাম পঞ্চায়েতগুলি সরকারি কোয়রান্টিনের খরচ চালাবে। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, ব্লক প্রশাসনের তরফে তা গ্রাম পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষকেও জানানে হয়। কিন্তু ব্লক যুব তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপি পরিচালিত মানিকচক ব্লকের মথুরাপুর গ্রাম পঞ্চায়েত ওই নির্দেশ মানেনি। তাই এ দিন বিক্ষোভ দেখায় তারা।

তৃণমূল পরিচালিত মালদহ জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌরচন্দ্র মণ্ডলের অভিযোগ, ব্যাঙ্কে গচ্ছিত সরকারি ফান্ডের সুদের টাকা দিয়ে সরকারি কোয়রান্টিন চালুর নির্দেশ থাকলেও বিজেপি পরিচালিত জেলার গ্রাম পঞ্চায়েত তা মানছে না। বিজেপির জেলা সভাপতি গোবিন্দ মণ্ডল অবশ্য বলেন, “সরকারি কোয়রান্টিন চালু করা নিয়ে প্রশাসনের তরফে বিজেপি পরিচালিত ২৭টি গ্রাম পঞ্চায়েতের সঙ্গে অসহযোগিতা করা হচ্ছে। দলীয় পঞ্চায়েত প্রধানরা কোয়রান্টিন সেন্টার চালুর জন্য স্কুল চেয়েও পাচ্ছেন না। কারণ সেগুলির পরিচালন সমিতিতে আছেন তৃণমূলের লোকেরা। কিন্তু দলের প্রধান, পঞ্চায়েত পরিযায়ী শ্রমিকদের পাশে আছে।”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement