আস্ত ফোয়ারা উধাও ডাবগ্রামে

চুরি হয়ে গিয়েছে আস্ত একটা ফোয়ারা! শুনতে অবিশ্বাস্য লাগলেও এমন ঘটনাই ঘটেছে শিলিগুড়ি শহরের ১ নম্বর ডাবগ্রামের সূর্যনগর মাঠ লাগোয়া এলাকায়। সেখানে মাইকেল স্কুলের মাঠের কাছেই ছিল তৈরি হয়েছিল বাহারি ফোয়ারা। আলো ও ধ্বনির মাধ্যমে রং-বেরংয়ের ফোয়ারার সৌজন্যে যেন বর্ণময় হয়ে উঠেছিল গোটা এলাকা।

Advertisement

কিশোর সাহা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০৬ মার্চ ২০১৬ ০১:৩৩
Share:

চুরি হওয়ার আগে এখানেই ছিল সেই বাহারি ফোয়ারা। বিশ্বরূপ বসাকের তোলা ছবি।

চুরি হয়ে গিয়েছে আস্ত একটা ফোয়ারা!

Advertisement

শুনতে অবিশ্বাস্য লাগলেও এমন ঘটনাই ঘটেছে শিলিগুড়ি শহরের ১ নম্বর ডাবগ্রামের সূর্যনগর মাঠ লাগোয়া এলাকায়।

সেখানে মাইকেল স্কুলের মাঠের কাছেই ছিল তৈরি হয়েছিল বাহারি ফোয়ারা। আলো ও ধ্বনির মাধ্যমে রং-বেরংয়ের ফোয়ারার সৌজন্যে যেন বর্ণময় হয়ে উঠেছিল গোটা এলাকা। সন্ধের পরে ফোয়ারার ধারে উপচে পড়ত ভিড়ও। সেই ফোয়ারার যাবতীয় কলকব্জা খুলে নিয়ে গিয়েছে চোরেরা। মাস তিনেক আগে চুরির ঘটনা ঘটলেও এখনও কিনারা করতে পারেনি পুলিশ। এমনকী, নতুন করে ফোয়ারা চালুর ব্যাপারেও পুরসভা উদ্যোগী হয়নি বলে অভিযোগ। তবে পুরসভার পার্ক ও বাগান বিভাগের মেয়র পারিষদ কমল অগ্রবালের দাবি, ‘‘ওই কাজের জন্য টাকা বরাদ্দ হয়েছে। শীঘ্রই কাজ শুরু করা হবে।’’

Advertisement

শিলিগুড়ি শহরের বড় মাঠগুলির মধ্যে সূর্যনগর অন্যতম। এলাকার তৃণমূল কাউন্সিলরের উদ্যোগে সূর্যনগর মাঠের সৌন্দর্যায়নের কাজও হয়েছে। সেই সময়ে মাঠ লাগোয়া মাইকেল স্কুলের গা ঘেঁষে ওই সুদৃশ্য ফোয়ারা বসানো হয়। বছর দুয়েক আগে আলো-ধ্বনির ব্যবস্থাও করা হয়। লক্ষাধিক টাকা খরচ করে ফোয়ারা চালুর পরে তা শহরের দর্শনীয় স্থান হিসেবে পরিচিত হয়ে যায়। কিন্তু, বসানোর পরে বছরখানেকের মাথায় ফোয়ারার কিছু সরঞ্জাম খোয়া যায়। পিতলের যাবতীয় যন্ত্রাংশ চুরি হয়ে যায়। কাউন্সিলর থানায় অভিযোগ জানান। কিন্তু, পুলিশের তরফে বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি বলে বাসিন্দাদের অনেকেরই অভিযোগ।

ওয়ার্ড কমিটি সূত্রে জানা গিয়েছে, দ্বিতীয় দফায় পুরসভা থেকে বরাদ্দ আদায় করে তা নতুন করে তৈরি করান কাউন্সিলর। ঘটা করে সেই ফোয়ারার উদ্বোধনও হয়। ফের রাতের অন্ধকারে হানা দিয়ে চোরেরা সব যন্ত্রাংশ খুলে নিয়ে যায়। যে সব যন্ত্রাংশ খোলা হয়েছে তা প্রায় ৫০ হাজার টাকায় কেনা। কৃষ্ণবাবু বলেন, ‘‘পুলিশকে জানিয়েছি। পুলিশ খোঁজ করছে বলে জানিয়েছে। শহরের কোথায় ওই ধরনের চোরাই যন্ত্রাংশের কারবার হয়ে তা পুলিশ খুঁজে দেখছে।’’ এর পরেই কৃষ্ণবাবুর অভিযোগ, তৃণমূলের দখলে ওয়ার্ড রয়েছে বলেই পুরসভার পক্ষ থেকে ফোয়ারাটি ফের চালু করার জন্য টাকা দিতে গড়িমসি করা হচ্ছে। তিনি বারবার পুর কর্তৃপক্ষকে জানানো সত্ত্বেও ফোয়ারাটি তৈরি হচ্ছে না বলে দাবি করেছেন। এলাকার বাসিন্দাদের পক্ষ থেকেও তা নিয়ে আন্দোলনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে ওয়ার্ড কমিটির দাবি।

শিলিগুড়ি পুরসভার পার্ক ও বাগান বিষয়ক মেয়র পারিষদ কমল অগ্রবালের দাবি, তাঁরা ইতিমধ্যেই ফোয়ারা চালু করাতে টাকা বরাদ্দ করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘আমরা উন্নয়ন ও রাজনীতি গুলিয়ে ফেলি না। ওই কাজের টাকা বরাদ্দ হয়েছে। সামনেই ভোট। নির্বাচনী বিধি বাধা না হলে কাজও শুরু হয়ে যাবে।’’

কিন্তু, য়ে কাজটা ৩ মাস আগেই শুরু করা যেত তার জন্য কেন মার্চ মাস পর্যন্ত গড়িমসি করা হল সেই প্রশ্নের কোনও সদুত্তর মেলেনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন